Uric Acid Superfood : ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে জয়েন্টের সমস্যা, কিডনিতে দোষ, হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপজ্জনক রোগ হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড হল শরীরে পিউরিনের একটি রূপ, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নির্গত হয়।
শরীরে ধীরে ধীরে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টালের রূপ নেয় এবং জয়েন্টের চারপাশে জমা হতে থাকে। যার কারণে জয়েন্টে ব্যথা, শক্ত হওয়ার মতো সমস্যা শুরু হয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এমন খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে, যাতে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে। ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এমন ফল এবং সবজি খাওয়া উচিত, যাতে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ কম থাকে।
আরও পড়ুনঃ শুক্রের মহাদশার প্রভাবে সর্বস্বান্ত হতে পারেন, রইল বাঁচার উপায়
শরীরে যেভাবে রাসায়নিক পিউরিন পাওয়া যায়, খাবারেও পিউরিন থাকে। তাই পিউরিনের কম পরিমাণ, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। "ফ্রুক্টোজ হল একটি প্রাকৃতিক চিনি, যা অনেক ফল ও সবজিতে পাওয়া যায়। তবে, ফ্রুক্টোজ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায়।"
১. কফি খান
চায়ের বদলে কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ কালো কফি খেলে শরীর ভালো থাকে। তবে এতে যাতে কিডনির সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
২. বেশি আঁশযুক্ত খাবার
বেশি আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন: সবজি, শাক ইত্যাদি। এই আঁশ স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীর থেকে মল আকারে বের হয়ে যায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন: লেবু-চা, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (পেয়ারা, আমলকী, কমলা, মাল্টা), গ্রিন-টি ইত্যাদি খেতে হবে।
৩. বিপদ দূরে রাখে ভিটামিন সি
ভিটামিন সি হল একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে, ঠিক তেমনই ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে কমিয়ে দিতে পারে। তাই ভিটামিন সি যুক্ত খাবার পাতে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কম পয়সায় লেবু জাতীয় ফলের কোনও বিকল্পই হতে পারে না। এই ফল নিয়মিত খান। এছাড়া খেতে পারেন আপেল, পেয়ারা, আমলকীর মতো ফল। এই ফলগুলিতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
৪. পর্যাপ্ত জলপান
কিডনি ইউরিক অ্যাসিডকে শরীর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু আপনি জলপান কমিয়ে দিলে বৃক্ক এই কাজটা সঠিকভাবে করতে পারে না। তাই পর্যাপ্ত জলপান করুন। ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে দিনে ২.৫ থেকে ৩ লিটার জলপান জরুরি। আর বাড়ির বাইরে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের জলপান আরও বাড়াতে হবে। তবেই রোগ থেকে বাঁচতে পারবেন।