ফুল ছাড়া কি আর পুজোয় হয়? হয় না তো! বাড়িতে রোজকার পুজোয় যেমন ফুল লাগে, তেমনই উৎসব অনুষ্ঠানে ঘরে টাটকা ফুল কিনে এনে ঘর সাজানোর রীতি রয়েছে। তা সে বিজয়া দশমী হোক কিংবা ধনতেরস-দীপাবলি। ফুল বিশেষ করে গাঁদা ফুলের মালার চাহিদা প্রচুর। তবে চাহিদার সবটাই কিন্তু টাটকা ফুলের। ব্যবহার হওয়ার পর তা ফেলে দেওয়াই দস্তুর।পুজোর ফুল হলে পরদিনই সরিয়ে নেওয়া হয়। অন্যথায় দু-তিন দিনের বেশি কোনও ফুল রাখা হয় না। পরদিন বাসি ফুল ফেলে দিই আমরা। কিন্তু জানেন কি এই বাসি ফুল কত কাজে লাগে! ফেলে না দিয়ে সেই বাসি ফুল কাজে লাগানো যেতে পারে নানাভাবে। আসুন আপনাকে জানিয়ে দিই।
আরও পড়ুনঃ
১. রুম ফ্রেশনার
ব্যবহৃত গাঁদা ফুলগুলি ছিঁড়ে ফেলতে হবে। এবার কােনও রংয়ের সঙ্গে ফুলগুলিকে ভাল করে মেশাতে হবে। একটি কাচের জারে ছেঁড়া ফুলগুলিকে রেখে দিন। এবার তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল দিন। ভাল করে ঢাকনা বন্ধ করে দিন দশেক রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে সুগন্ধি। সারাক্ষণ ঘরে সুন্দর গন্ধ ছড়াবে।
২. ঘর মোছার জন্য ফুল ব্যবহার করুন
আমরা রোজই ঘর মুছি। পরিস্কার রাখি। অনেক সময় তাতে লাইজল, বা সুগন্ধি দিয়ে ঘর পরিষ্কার রাখি। কিন্তু কখনও শুকনো ফুল দিয়ে ঘর মুছে দেখেছেন কি? শুকনো ফুল জলে ফেলে তা দিয়ে ঘর মুছুন। এরপর দেখুন ম্যাজিক। তবে তার পদ্ধতি রয়েছে। আসুন জেনে নিই। একটি বালতিতে শুকনো ফুল নিন। তাতে ঢেলে দিন বেকিং সোডা। কিছুটা লবণ মিশিয়ে নিন। এবার সেটি জলে ফেলে দিন আর তা দিয়ে মুছুন বাড়ি। গোটা ঘর সুগন্ধে ভরপুর হয়ে উঠবে।
৩. কাপড় রং করুন
আপনার এক কালারের কোনও কাপড়-পর্দা জাতীয় কিছু জিনিসকে অন্য রংয়ে রঙিন করতে চাইলে বাসি ফুল কাজে লাগাতে পারেন। জেনে নিন কীভাবে করবেন। জানেন? যে কাপড়টিকে রঙিন করতে চাইছেন , সেটির মধ্যে ফুল রেখে কাপড়টি মুড়িয়ে একটা গোটা দিন জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর প্রায় ২৪ থেকে ৩০ ঘন্টা পর ওই অবস্থায় জল গরম করতে থাকুন। ওই পর্দা বা কাপড়টি ফুলের রংয়ে রাঙিয়ে গিয়েছে। আর এই রং সহজে উঠবে না।
তাই ফুল শুধু টাটকা নয়, বাসিও কাজে লাগানো যায় বুদ্ধি খরচ করলে। আর তা যদি ঘরের কাজে লাগে প্রায় নিখরচায়, তাহলে কেন শুধু শুধু ফুল ফেলে দেবেন?.