আজকাল প্রায় সকলেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে টেনশন বা মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। টেনশন প্রথমে একটু দিয়ে শুরু হয়, পরে বাড়তে থাকে। আর ভবিষ্যতে এটিই ডিপ্রেশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা পেশাগত জীবনের বিভিন্ন সমস্যার কারণে মানুষ টেনশন ও ডিপ্রেশনে ভুগতে পারেন। আবার অনেক সময় শরীরে ভিটামিনের অভাবেও ডিপ্রেশন হয়। ডিপ্রেশনে থাকা ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য দ্রুত খারাপ হতে পারে। এখানে এমন একটি ভিটামিন নিয়ে কথা বলা হবে যার ফলে নার্ভাসনেস, অস্থিরতা বা মানসিক চাপের সমস্যা বাড়ে। তবে খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন এনে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি ১ যুক্ত খাবার খান
ভিটামিন বি ১ থায়ামিন নামেও পরিচিত। এর অভাবে নার্ভাসনেস দেখা যায়। নার্ভাসনেসের পাশাপাশি ডিপ্রেশন, উদ্বেগ, বিরক্তি এবং নিদ্রাহীনতার মতো অন্যান্য মানসিক সমস্যারও শিকার হতে পারেন মানুষ। ভিটামিন বি ১ ব্যবহার করে, আমাদের মস্তিষ্ক গ্লুকোজকে এনার্জিতে রূপান্তরিত করে। এর অভাবে খিদে কমে ও ক্লান্তি বাড়ে। তাই খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি ১-এর পরিমাণ বাড়িয়ে আপনি এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ভিটামিন ডি মাংসপেশীর বিকাশ করে
ভিটামিন ডি হাড় এবং পেশীর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া এর ঘাটতি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরেও গভীর প্রভাব ফেলে এবং ডিপ্রেশনের ও টেনশনের সমস্যা দেখা দেয়। খাবারে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বাড়ালে মানসিক চাপ, নার্ভাসনেস বা অস্থিরতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বিরক্তির অবসান ঘটায় ভিটামিন বি
যদি স্বভাবে বিরক্তি বা দেহে ক্লান্তি অনুভব করেন তাহলে বুঝবেন দেহে ভিটামিন বি-এর অভাব হয়ে থাকতে পারে। ভিটামিন বি এর অভাবে মেজাজ খারাপ থাকে। তাই মেজাজ ফুরফুরে রাখতে খাবারে ভিটামন বি-এর পরিমান বাড়ান। ভিটামিন বি ৬, বি ৯, বি ১২ সমৃদ্ধ খাবারও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খাওয়া যতে পারে। পাশাপাশি খাবারে আয়রন, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও শরীরের জন্য বিশেষ ভাল।
আরও পড়ুন - ওজন-কোলেস্টেরল কমায়, ত্বক রাখে চকচকে, ঘোলের কামাল জানেন?