Advertisement

Vitamin D deficiency: ভারতের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকেরই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি! কারণ কী? 

ভারতীয়দের জন্য স্বাস্থ্যসংক্রান্ত একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। সম্প্রতি মেট্রোপলিস হেলথকেয়ার লিমিটেডের ৬ বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতীয়দের প্রায় অর্ধেকেরই ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে। গবেষণায় ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ২০.২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 30 Oct 2025,
  • अपडेटेड 1:00 PM IST
  • ভারতীয়দের জন্য স্বাস্থ্যসংক্রান্ত একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি।
  • সম্প্রতি মেট্রোপলিস হেলথকেয়ার লিমিটেডের ৬ বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতীয়দের প্রায় অর্ধেকেরই ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে।

ভারতীয়দের জন্য স্বাস্থ্যসংক্রান্ত একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। সম্প্রতি মেট্রোপলিস হেলথকেয়ার লিমিটেডের ৬ বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতীয়দের প্রায় অর্ধেকেরই ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে। গবেষণায় ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ২০.২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

গবেষণার মূল তথ্য
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৪৬.৫% ভারতীয়ের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে, যেখানে আরও ২৬% পর্যাপ্ত মাত্রা অর্জন করতে পারেনি। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ঘাটতি বেশি দেখা গেছে, কারণ তারা দীর্ঘ সময় ঘরের বা অফিসের মধ্যে থাকেন এবং সূর্যের আলো কম পান। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রায় ৬৬.৯% এই ঘাটতিতে ভুগছে।

লিঙ্গ ও আঞ্চলিক বৈষম্য
লিঙ্গের ভিত্তিতে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মহিলাদের মধ্যে ৪৬.৯% এবং পুরুষদের মধ্যে ৪৫.৮%। আঞ্চলিকভাবে দক্ষিণ ভারতে ঘাটতির হার সর্বোচ্চ, প্রায় ৫১.৬%। মধ্য ভারত এবং উত্তর ভারতের হার যথাক্রমে ৪৮.১% ও ৪৪.৯%। পশ্চিম ভারতের মানুষ তুলনামূলকভাবে কিছুটা ভালো অবস্থায় (৪২.৯%), আর উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের মধ্যে ঘাটতি সবচেয়ে কম (৩৬.৯%)।

ঘাটতির কারণ
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে শহুরে জীবনযাত্রা, সীমিত সূর্যের আলো এবং অসম্পূর্ণ খাদ্যাভ্যাস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুধু ভৌগোলিক অবস্থান নয়, এসব সামাজিক ও জীবনধারার কারণে ভারতের জনগণ এই ঘাটতিতে ভুগছে।

প্রভাব ও সতর্কতা
ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্য, পেশী কার্যকারিতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেট্রোপলিস হেলথকেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুরেন্দ্রন চেমেনকোটিল বলেন, 'ভিটামিন ডি-এর অভাব ধীরে ধীরে প্রভাব ফেলে, তবে তা গুরুতর হতে পারে।' প্রধান বিজ্ঞানী কিরণ চাড্ডা বলেন, 'ঘাটতি প্রাথমিকভাবে লক্ষণহীন হতে পারে, তাই নিয়মিত পরীক্ষা জরুরি। ক্যালসিয়াম ও প্যারাথাইরয়েড হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করে সঠিক কারণ নির্ণয় করা যায়।'

সমাধান
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কাটাতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত সূর্যালোক, পুষ্টিকর খাদ্য (যেমন দুধ, ডিম, মাছ) এবং প্রয়োজনে সম্পূরক ভিটামিন গ্রহণের পরামর্শ দেন। নিয়মিত স্ক্রিনিং এবং সচেতন খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ভারতের জনগণ এই স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে পারে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement