বর্তমানে খারাপ লাইফস্টাইলের কারণে মানুষের মধ্যে দ্রুত বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। তারমধ্যে করোনার জেরে অনেক সেক্টরেই দীর্ঘদিন মানুষ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেছেন। এখন অবশ্য ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কর্মসংস্কৃতি যে একেবারে উঠে গিয়েছে এমনটা নয়। এখনও বহু সংস্থায় চলছে পূর্ণ বা আংশিক ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এই পরিস্থিতিতে আইটি সেক্টরে কর্মরত এক যুবক জানাচ্ছেন, লকডাউনের সময় বাড়িতে থেকে কাজ করার কারণে তাঁর ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে। মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই ওই যুবকের ওজন বেড়ে পৌঁছায় ৮৮ কেজিতে। এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে বর্ধিত পেট লোকাতে তিনি জ্যাকেট পরে বাড়ি থেকে বের হতেন। ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং দীর্ঘ সময় ধরে বসে থেকে কাজ করার জন্য তাঁর ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাও তাঁর শরীরে দেখা দেয়। নিজের শারীরিক পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়ে যান ওই যুবক। যার জেরে অবশেষে ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ওজন কমানোর কৌশল
ওজন কমানোর জন্য ওই যুবক প্রথমে তাঁর রোজের ডায়েটে কিছু পরিবর্তন আনেন। সকালের ব্রেকফাস্টে ২টি সেদ্ধ ডিম, ইডলি, দুধ, কর্ন ফ্লেক্স, ২টি রুটি এবং সবজি খেতেন। লাঞ্চে খেতেন মসুর ডাল, স্যালাড এবং প্রোটিন। রাতের ভাত, রুটি মিশিয়ে খেতেন। পাশাপাশি খেতেন সবজি ও ডাল।
ওয়ার্কআউট করে কমান ওজন
ডায়েটের পাশাপাশি রোজ হাঁটা শুরু করেন ওই যুবক। এছাড়া পুশআপ, জাম্পিং জ্যাক, দৌড়ানো এবং জগিং করাও ছিল তার প্রতিদিনের রুটিন। টানা ৬ মাস এই রুটিনে থেকে ১৮ কেজি ওজন কমান ওই যুবক, যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান তাঁর বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণে মানুষের দেহে থাইরয়েড, কোলেস্টেরল এবং লিভার সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। যা কোনও কোনও সময় মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই কারও যদি অপ্রয়োজনীয়ভাবে ওজন বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো মেদ ঝরানোর চেষ্টা করা উচিত।
আরও পড়ুন - আলুর রস মুখে গ্ল্যামার আনে-মোলায়েম চুলও, কীভাবে বানাবেন?