Advertisement

Weight loss: ফুচকা খেয়েও ৯৩ কেজি থেকে সোজা ৬৮ কেজি হলেন এই মহিলা, কী ডায়েটে?

Weight loss: ওজন বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছিল ৯৩ কেজিতে। এরপর তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে ১০ মাসে কমিয়ে ফেললেন ২৫ কেজি ওজন। কসরত, পরিশ্রমের সঙ্গে ডায়েট প্ল্যান করলেও। কিছুই খাওয়া ছাড়েননি তিনি। এমনকী ফুচকা খেয়েও ৯৩ কেজি থেকে সোজা ৬৮ কেজি হলেন এই মহিলা। জানুন তাঁর ডায়েট প্ল্যান...

ফুচকা খেয়েও ৯৩ কেজি থেকে সোজা ৬৮ কেজি হলেন এই ব্যক্তি, কী ডায়েটে?
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 09 Sep 2022,
  • अपडेटेड 1:23 PM IST
  • ফুচকা খেয়েও ওজন কমালেন মহিলা
  • ৯৩ কেজি থেকে সোজা ৬৮ কেজি হলেন
  • ১০ মাসে কমালেন ২৫ কেজি ওজন

Weight Loss Transformation: যে মেয়েটি স্কুলে স্পোর্টস অ্যাক্টিভিটিতে অত্যন্ত আগ্রহী ছিল এবং খুব ভাল বাস্কেটবলও খেলত। তার জীবন পরবর্তীতে এতটা বদলে যাবে তা তিনি নিজেও কল্পনা করেননি। দশম পাশ করার পর কলেজের পড়াশুনা, পেশা এরপর মাতৃত্বের স্বাদ। তার জীবনকে যেমন বদলে দিয়েছে, তেমনই খেলাধূলায় বিরতি ও সাংসারিক চাপ তাঁর ওজনও বাড়াতে শুরু করে। তিনি ক্রমশ ৯২ কেজি হয়ে যান। এরপরে জীবনে হওয়া এমন একটা ঘটনা তার ভেতর ভেঙে চুরমার করে রেখে দেয়। এই ঘটনা হল, তাঁর চার বছরের মেয়ে ব্লাড ক্যান্সারে (Blood Cancer-এ আক্রান্ত হয়। এরপরে তিনি নিজেকে মোটিভেট করতে ও নিজের কাজ ঠিকমতো করতে নিজেকে ট্রান্সফর্ম করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ১০ মাসে নিজের ২৫ কিলো ওজন কম করেছেন। আজতকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লখনউর পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের (PNB) সিনিয়র ম্যানেজার (Senior Manger) প্রেরণা মিশ্রা (Prerana Mishra) নিজের ফিটনেস জার্নি শেয়ার করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন যে জীবনে তাঁকে কতটা সমস্যার মুখে পড়তে হয়। আসুন আমরা আপনাকে জানিয়ে দিই যে কীভাবে তিনি ওজন কম (Weight Loss) করেছেন। যাঁরা মোটিভেশনের অভাবে ভুগছেন, তাঁরা এই মহিলার গল্প একবার পড়ে নিতে পারেন।

নাম-প্রেরণা মিশ্রা

শহর-লখনউ 

পেশা-ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার

উচ্চতা-৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।

বয়স-৩৬ বছর।

সর্বাধিক ওজন-৯৩ কেজি।

বর্তমান ওজন-৬৮ কেজি।

মোট ওয়েট লস-২৫ কেজি

কেমন ছিল এই ওয়েট লস জার্নি

আজতক.ইন (Aajtak)-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার প্রেরণা জানিয়েছেন যে, "শুরুতে স্পোর্টস অ্যাক্টিভিটিতে অংশ নিতে আমার অত্যন্ত আগ্রহ ছিল। আমি কত্থক ড্যান্সারও (Dancer) ছিলাম। কিন্তু বিয়ের পর আমার জীবন বদলে যায়। কাজে-কর্মে এবং সাংসারিক পেশাগত চাপের গ্যাঁড়াকলে পড়ে শরীরের দিকে নজর দেওয়ার সময় হয়নি। আমার স্বামী জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য গিয়েছিলেন। যার পরে জানুয়ারি ২০২১-এ আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং আমার জীবন প্রায় থেমে গিয়েছিল। প্রত্যেকদিন আমার মেয়েকে সামলাতে হতো। এ দিকে মেয়ে দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছিল। আমাকেই মেয়েকে নিয়ে ওয়াশরুম থেকে হাসপাতাল এবং প্রত্যেক জায়গায় যেতে হত। আমার সে সময়ে নিজের ওজন নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু তিন চার বছর যাওয়ার পর এপ্রিল ২০২১-এ আমার কোমরে ব্যথা হতে শুরু করে। একাধিকবার ব্যথা এতটা বেড়ে যায় যে, আমি মেয়েকে তুলতেও পারতাম না।"

Advertisement

তিনি আরও বলেন, "এরপর আমি সম্পূর্ণ মনস্থির করে নিই যে  মেয়েকে ঠিকঠাক যত্ন করতে হলে ফিট হতে হবে। এরপর ফিটনেস এর জন্য এক কোচের কাছে যাই। তিনি আমার জন্য ডায়েট (Diet) এবং ওয়ার্ক আউট প্ল্যান (Work Out Plan) তৈরি করেন। যদিও আমি কোনও স্ট্রিক্ট ডায়েট ফলো করিনি। সব সময় ঘরের খাবার খেয়েছি। দেখতে দেখতে আমার ওজন কম হওয়া শুরু করে এবং আমি মাত্র দশ মাসে ২৫ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলি। আজকে আমার ৬৮ কিলো ওজন এবং আমি এখন অ্যাবস বানানোর জন্য পরিশ্রম করছি।"

ওজন কম করার জন্য কেমন ডায়েট নিতেন তিনি

প্রেরণা জানিয়েছেন যে ট্রানসফর্মেশন জার্নি শুরু করার আগে তিনি সবকিছুই খেয়ে ফেলতেন। বাঙালি হওয়ায় ভাত বেশি খেতেন। এখন যেখানে পরিমিত মাত্রায় ভাত খান সেখানে আগে আনলিমিটেড খেতেন। প্রথমে থালায় ভাত বেশি এবং ডাল সালাড কম থাকতো। এখন ভাত কম, সবজি-স্যালাড বেশি থাকে। তাঁর বক্তব্য, "আমি সব কিছুই খাই। এ কারণে আমি প্রায়ই ডায়েট বদলাতাম। কারণ আমি জানতে পেরে গিয়েছিলাম যে, আপনি যা খান, তাঁর মাত্রা সীমিত রাখা জরুরি। আমার ফুচকা অত্যন্ত পছন্দ এবং আমি কখনো ফুচকা খাওয়া ছাড়িনি। কিন্তু আমি তার ক্যালোরি সম্পর্কে জানতাম। এ কারণে যখনই আমি ফুচকা খেতাম তখন অন্য মিলের সঙ্গে সেটি ম্যানেজ করে নিতাম। আমার ট্রেনার এভাবেই ডায়েট তৈরি করেছিলেন।"

ব্রেকফাস্ট

স্লাইস ব্রেড, হাফ ফ্রাই এগ, চিনি দিয়ে আদা-চা, স্কুপ হোয়ে প্রোটিন।

লাঞ্চ

চিকেন বিরিয়ানি। ৪০ গ্রাম ভাত ও ১০০ গ্রাম চিকেন। কখনও চিকেন রোল বা চিকেন পাস্তা, স্যালাড।

ইভনিং স্নাক্স

চিনি দিয়ে আদা চা।

ডিনার

বেসনের রুটি, একটা ওমলেট, এক স্কুপপ হোয়ে প্রোটিন।

ওজন কম করার জন্য টিপস

প্রেরণা জানিয়েছেন যে প্রত্যেকের লাইফে আপ অ্যান্ড ডাউন থাকে এবং তার মানে এই নয় যে তিনি জীবন যাপন করা ছেড়ে দেবেন। পরিস্থিতির মোকাবিলা করা জরুরি। "আমার মেয়ের স্বাস্থ্য নিয়ে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন থাকি। কিন্তু আমি সব সময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। আমি জানি যে সমস্যা যেমন আছে, তেমনই সমস্যা পার হয়ে যায়। আমাদেরকে সাহসের সঙ্গে  ধৈর্য ধরে রাখতে হবে এবং নিজেকে মোটিভেট করতে হবে। ব্যাস এভাবেই আমি আমার ট্রান্সফরমেশন এর কাজও শুরু করি।" যদি আপনি আপনার ওজন কম করতে চান তাহলে শারীরিক পরিশ্রম এবং কসরতের পাশাপাশি এভাবে ডায়েট প্ল্যান করলে ওজন কম করতে পারবেন।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement