Weight Loss Easy Steps: ওজন কম করার জন্য ডায়েট (Diet) এবং শরীরচর্চার (Physical Exercise) চেয়ে বেশি উইল পাওয়ার (Will Power)প্রয়োজন। এটা আমরা বারবার শুনেছি। কিন্ত যখন কোনও মানুষ ঠিক করে নেন যে, যে কোনও ভাবে তিনি ওজন কম করবেন এবং ফিট হয়ে যাবেন তখন ডায়েট এবং এক্সারসাইজ প্ল্যান খুব সহজেই ফলো করতে পারেন। এমনই চমৎকার ঘটিয়ে দিয়েছেন এক মহিলা। এই মহিলা নিজের ৬০ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেছেন। আসলে তাঁর লাইফে এমন ঘটনা ঘটেছে, যার কারণে তিনি ওজন কম করে নিয়েছেন।
ওজন কম করা যুবতীর নাম লরেন অ্যাকটন (Lauren Acton), তিনি ৩০ বছর বয়সী। তাঁর বাড়ি ইউএসএতে (USA). ২৭ বছর বয়সে লরেনের ওজন প্রায় ১৩৭ কেজিতে পৌঁছে গিয়েছিল। ডায়াবেটিস (Diabetes), হাই ব্লাড প্রেসার (High Blood Pressure)এবং কোলেস্টেরল (Cholesterol) এর শিকার হয়ে যান তিনি। তিনি কিছু কাজ করতে পারতেন না। যা করতে যেতেন কয়েক মুহুর্তের মধ্যে হাঁফিয়ে যেতেন। এরপর তিনি অনুভব করতে থাকেন, যদি তাঁকে লম্বা সময় বেঁচে থাকতে হয়। এবং জীবনকে উপভোগ করতে হয়, তাহলে তার ওজন কম করতে হবে। কারণ তার ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। তখন তিনি ৬০ কিলো ওজন কম করেন। এখন তার ওজন ৭৭ কেজির কাছাকাছি। ভাবতে পারছেন!
আসলে ২৭ বছর বয়সে ২০১৯ সালে তিনি তখন বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পিংয়ে গিয়েছিলেন তারপরে সেখানে তার ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি করার বিষয় আসে, তখন তিনি সেগুলি করতে পারেননি। কারণ অ্যাক্টিভিটি করার জন্য তার ওজন অত্যন্ত বেশি ছিল। এরপরই তিনি মুষড়ে পড়েন। কিন্তু মনে করেন যে ওজন কমাবেন। ২০১৯ সালে তিনি ওজন কম করা শুরু করেন।
কীভাবে শুরু হল ফিটনেস জার্নি?
লরেন জানিয়েছেন, মাত্র সাতাশ বছর বয়সে তার ওজন অধিক যাওয়ার কারণে এনার্জি লেভেল একেবারে শূন্যতে পৌঁছেছিল। প্রডাক্টিভিটি কমে গিয়েছিল। সেই সময়ে তিনি অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি কয়েক কদম হাঁটতে পারতেন না। এ পর্যন্ত এরপরই তিনি দলের সঙ্গে দেখা করেন এবং বেরিয়াট্রিক সার্জারি পদ্ধতি যাতে না হয় সে বিষয়টি পরামর্শ নেন। তারপর তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে শুরু করেন এবং ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার এবং সঠিক মাত্রায় রেখে পরিশ্রম শুরু করেন। দু'বছরের পরিশ্রমের পর তিনি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন। তিনি এ বছরের শেষে ৬৭ কেজি ওজন করে নেওয়ার লক্ষ্য রেখেছেন।
লরেন জানিয়েছেন কীভাবে ওজন কম করেছেন
ওজন কম করার জন্য সপ্তাহে ৪ বার জিম যেতে হয়, এবং হেলদি ডায়েট পালন করতে হয়। তিনি ইন্টারনেটে বহু তথ্য জোগাড় করেছেন। ঘন্টার পর ঘন্টা ওয়েট ট্রেনিং এবং কার্ডিও ট্রেনিং করতেন। তার জন্য ডায়েট করা মুশকিল ছিল। কারণ তিনি খাদ্যপ্রেমী ছিলেন। তিনি খাবারে প্রোটিন শেক এবং প্রচুর ফল খেতেন। অ্যাভোকাডো সহ বেশ কিছু ফল ও খাবার খেতেন। তারপরে তার আটা দিয়ে তৈরি পিজা রাতে খেতেন। খিদে পেলে প্রোটিন শেক নিতেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ধীরে ধীরে ওজন কম করতে শুরু করেন।