একজন ব্যক্তির শরীরে শক্তির জন্য কতটা ক্যালোরি বার্ন করেন, তা বিপাক (Metabolism) হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটি আপনার বয়স, লিঙ্গ, বংশগতি, শরীরের চর্বি, পেশী ভর এবং কার্যকলাপের মাত্রা সহ বেশ কয়েকটি কারণ দ্বারা নির্ধারিত হয়। আপনার বিপাক উচ্চ হলে আপনি বিশ্রামে এবং ক্রিয়াকলাপের সময় আরও ক্যালোরি বার্ন করতে পারবেন। কিছু টিপস রইল আপনার জন্য, যা আপনার চর্বি- কমিয়ে, ওজন-হ্রাসের লক্ষ্যে দ্রুত পৌঁছতে সাহায্য করবে আপনাকে।
* উচ্চ-তীব্রতা ওয়ার্কআউট (High- Intensity Workout)
উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম আপনার বিপাক বাড়ায়। আরও কঠোর ওয়ার্কআউট করার চেষ্টা করুন ধীরে ধীরে, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ মেনে। এছাড়া দৌড়ানো, সাঁতার কাটা এবং সাইকেল চালানোর মতো কার্যকলাপের মাধ্যমে ওয়ার্কআউট করতে পারেন। সেই সঙ্গে উচ্চ-তীব্রতা এবং কম-তীব্রতার ব্যায়ামের সময়কালকে পরিবর্তন করে, বিপাককে উন্নত করতে পারেন।
* হাইড্রেট (Hydrate)
সঠিক বিপাকের জন্য জল প্রয়োজন। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ১৮-২৩ বছর বয়সী অতিরিক্ত ওজনের মহিলারা, দৈনিক ১.৫ লিটার জল বেশি পান করলে গড় ওজন এবং BMI হ্রাস পায়। কম জল পান করলে, ডিহাইড্রেশন হয়ে, আপনার বিপাকক্রিয়ায় সমস্যা হতে পারে।
* স্মার্ট স্ন্যাকিং (Smart Snacking)
আপনি যখন নিয়মিত বিরতিতে খান তখন বিপাকীয় ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হয়। প্রতি ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা একটু খাবার বা জলখাবার আপনার বিপাককে পুনরুজ্জীবিত রাখে। যা আপনাকে সারাদিনে আরও বেশি ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে। যারা প্রতিদিন জলখাবার খান, তারা মূল খাবারের সময় কম খান। একবারে প্রচুর পরিমাণে খাবার খেয়ে, দীর্ঘ সময় ধরে না খাওয়ায় ধীরে ধীরে ক্যালোরি বার্ন হয় এবং আরও চর্বি কোষ সঞ্চয় হতে পারে।
* গ্রিন টি পান করুন (Drink Green Tea)
যদিও কোন গবেষণায় এটি নিশ্চিত হয়নি, তবু কিছু প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, গ্রিন টি বিপাকে এবং ফ্যাট বার্নে সহায়তা করে। এটি নিঃসন্দেহে চিনিযুক্ত কোনও রসের চেয়ে অনেক ভাল বিকল্প এবং এটি আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে পারেন।
* ভাল বিশ্রামে থাকা শরীর (Well Rested Body)
কম ঘুম স্থূলতার ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। বিপাকের উপর কম ঘুমের কক্ষতিকর প্রভাব পরতে পারে। ঘুমের ঘাটতি, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।