
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একটা প্রচলিত ধারণা হল, রুটি খেলে নাকি ওজন বেড়ে যায়। এই কারণেই অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রুটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। কিন্তু ভারতের মতো দেশে কি এটা সম্ভব?
ফোর্টিস বসন্ত কুঞ্জের সিনিয়র গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট এবং হেপাটোলজিস্ট ডাঃ শুভম বাৎস্য এই ধারণার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন যে রুটি পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া সমাধান নয়। পরিবর্তে, সঠিক শস্য দিয়ে তৈরি রুটি বেছে নেওয়াই ভালো। সম্প্রতি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, ডঃ বাৎস্য বলেছেন যে রুটি সম্পূর্ণ ভাবে না খাওয়ার পরামর্শ ভারতীয় পরিবারের জন্য বাস্তবসম্মত নয়। তিনি আরও বলেন যে যদিও এটা সত্য যে গমের কার্বোহাইড্রেট থাকায়, অতিরিক্ত রুটি খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে রুটি পুরোপুরি ত্যাগ করা উচিত।
আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক রুটি কীভাবে বেছে নেবেন?
ডাঃ শুভম বাৎস্য বলেন যে সঠিক শস্য দিয়ে রুটি তৈরি করলে তা কেবল পেট ভরে না বরং অনেক রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। তাঁর মতে, নিয়মিত গমের রুটি বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বাড়তে পারে। তবে, স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সঠিক শস্য দিয়ে রুটি তৈরি করলে এটি বেশ উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
ডাঃ বাৎসা বলেন যে জোয়ার রুটি ডায়াবেটিস বা ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য একটি ভালো। এটি গ্লুটেন-মুক্ত, ক্যালোরি কম এবং এর ফাইবার উপাদান শক্তিশালী হজম ব্যবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ দিকে, রাগি রুটি ক্যালসিয়াম এবং আয়রন সমৃদ্ধ, যা হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, বাজরার রুটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। বেসন রুটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা ওজন কমাতে এবং পেশী মেরামতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ওটস রুটিতে ফাইবার এবং বিটা-গ্লুকান থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
দ্রষ্টব্য: এই খবরটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। আপনার খাদ্যতালিকায় কোনও পরিবর্তন আনার আগে একজন ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।