পুজোর ছুটিতে বা তারপর পুরী যাননি এমন বাঙালি কমই আছেন। যাঁরাই ঘুরতে ভালোবাসেন তাঁরা পুরী গিয়েছেন-একথা চোখ বন্ধ করেও বলা যেতে পারে। তবে পুরীতে খরচ একটু বেশিই। কারণ ভিন রাজ্য। আবার যাওয়া-আসার জন্য ভাড়াও কম লাগে না খুব একটা। অথচ আমাদের রাজ্যেই এমন কয়েকটি জায়গা আছে যেখানে আপনি গেলে সমুদ্র পাবেন, পাবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আবার ঘুরেও আসতে পারেন মাত্র কয়েকশো টাকাতে। আসুন জেনে নিই সেই জায়গাগুলো কী কী ও সেখানে যাওয়া আসা থাকা খাওয়ার খরচ ইত্যাদি।
মৌসুনি দ্বীপ (mousuni island) : কলকাতা (Kolkata) থেকে মাত্র ১১০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Pargana) নামখানা ব্লকে অবস্থিত এই দ্বীপ। সমুদ্রের ধারে রয়েছে ঝাউবন। এই জায়গার তিনদিকে চিনাই নদী ও একদিকে সাগরের মোহনা ও গঙ্গা সাগরের সবুজ প্রান্তর রয়েছে। ঝাউবনের মধ্যেই রয়েছে ক্যাম্প। সেখানে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে চাইলে রাত্রিবাস করতে পারবেন। সেখানে খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।
শিয়ালদহ থেকে নামখানা লোকাল ধরে পৌঁছতে পারবেন এই দ্বীপে। ভাড়া জন প্রতি খুব বেশি হলে ৪০ টাকা। বাস পাবেন ধর্মতলা থেকে। চাইলে বাসেও যেতে পারেন। ভাড়া ১০০ টাকা মতো। আবার আপনার যদি বাইক থাকে বা একা যেতে চান তাহলে ঘুরে আসতেই পারেন। সেক্ষেত্রেও যাওয়া আসার খরচ ৪০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। তবে আপনি যদি ওই ক্যাম্পে থাকেন তাহলে খরচ সামান্য বেশি হবে। দূরত্ব যেহেতু কম, তাই একদিনেই ঘুরে চলে আসতে পারেন।
হেনরি আইল্যান্ড ও বকখালি (Henry Island-Bokkhali) : ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে ঘেরা, গুটিকতক কটেজ এবং একটা বাড়ি। আর রয়েছে নির্জন সমুদ্রতট। এই হেনরি আইল্যান্ডের বিশেষত্ব হল ভেড়ির টাটকা মাছ। রয়েছে রিসর্টও। এখানে থাকতে পারবেন। পাবেন একেবারে ঘরোয়া রান্না।
এটিও নামখানা (Namkhana) ব্লকে। তাই মৌসুনী দ্বীপের মতো আপনারা এখানেও যেতে পারবেন ট্রেনে বা বাসে। বকখালিও এর কাছেই। বকখালি থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। বকখালির ৪ কিলোমিটার আগে জেটিঘাট স্টপেজ। সেখানে নেমেই হেনরি আইল্যান্ড যেতে হবে।
এই হেনরি আইল্যান্ডে থাকার জন্য রাজ্য সরকারের দুটি টুরিস্ট লজ রয়েছে। রাত্রিবাস করলে সেখানেও থাকতে পারেন। খরচ ১০০০ টাকা মতো হবে। খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে।
বকখালি যেতে গেলেও নামখানা লোকালে যেতে পাবেন। ভাড়াও ওই একই। অর্থাৎ আগের দুটি গন্তব্যের মতোই। সমুদ্রের পাশাপাশি এখানে রয়েছে চিড়িয়াখানা। হোটেলভাড়াও নামমাত্র। ৫০০ টাকাতেও হোটেল পেয়ে যাবেন। এছাড়াও বকখালি আপনি যেতে পারেন বাসেও। ধর্মতলা থেকে একাধিক বাস ছাড়ে। সহজেই সেখানে পৌঁছে যাবেন কয়েক ঘণ্টায়।