গরমকালে বাংলায় মেলে এই সাদা ফল। দামেও অনেক সস্তা। খেতেও দারুণ। গ্রীষ্মকালীন এই ফল ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ফলে। বহু শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদিক এবং ইউনানি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। গুরুতর অসুখেও খুবই কার্যকর। এই ফল খেলে নানা রোগ থেকে মুক্তি মেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সাদা ফল সম্পর্কে।
কথা হচ্ছে সাদা জামকে নিয়ে। সাদা জাম ডায়েটে (Health Benefits Of White Jamun) রাখলে বিবিধ রোগবালাই থেকে শরীরকে দূরে রাখা যায়। সাদা জাম ৭ অসুখ থেকে রক্ষা করে। সাদা জামের এমন গুণের কথা হয়তো জানতেন না।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে- সাদা জাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এতে এমন যৌগ রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বাড়ায় প্রাকৃতিক ইনসুলিনও।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য- সাদা জাম হৃৎপিণ্ডের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে এমন যৌগ রয়েছে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। সেই সঙ্গে কমায় হৃদরোগের ঝুঁকি। শুধু তাই নয়, এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে- সাদা জামে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ফাইবার বেশি থাকায় সাদা জাম খেলে তাড়াতাড়ি খিদে পায় না। ফলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বাঁচায়।
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য- সাদা জামে থাকা ভিটামিন সি সুস্থ ত্বকের জন্য অপরিহার্য। এটি বলিরেখা কমানোর পাশাপাশি ত্বকের টোন এবং টেক্সচার উন্নত করে। সেই সঙ্গে উজ্জ্বল করে ত্বককে।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়- সাদা জাম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। মস্তিষ্কের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে। বয়স বাড়লে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। সেটাও রোধ করে সাদা জাম।
হজমশক্তির উন্নতি-সাদা জাম ফাইবার সমৃদ্ধ। এতে উচ্চ পরিমাণে ট্যানিন রয়েছে। যা হজমের উন্নতি করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক। শুধু তাই নয়, এটি পেটের সমস্যারও উপশম করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- ভিটামিন সি থাকে সাদা জামে। যা শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। যা কোষের ক্ষতি করে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।
কীভাবে খাবেন?
সাদা জাম পুষ্টিকর এবং উপকারী ফল। যা বিবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। সাদা জাম এমনিই খেতে পারেন। অথবা জুস বা স্মুদি করেও খাওয়া যায়।