Morning Gas And Bloating: সকালে ঘুম থেকে উঠেই পেটভর্তি গ্যাস, কেন হয়?
পেটে গ্যাস (Gas) তৈরি হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। পাকস্থলীতে উৎপন্ন গ্যাস (Gas In Stomach) নির্ভর করে আপনার জীবনধারা (Lifestyle) ও খাদ্যাভ্যাস (Diet) কী তার ওপর। কিন্তু মাঝে মাঝে গ্যাসের কারণে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। গ্যাসের কারণে অনেক সময় যেমন বুকে ব্যথা হয়, তেমনি গ্যাস আটকে গেলে তা ব্যক্তির জন্য প্রাণঘাতী ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- গ্যাসের কারণে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়
- গ্যাসের কারণে অনেক সময় যেমন বুকে ব্যথা হয়
পেটে গ্যাস (Gas) তৈরি হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। পাকস্থলীতে উৎপন্ন গ্যাস (Gas In Stomach) নির্ভর করে আপনার জীবনধারা (Lifestyle) ও খাদ্যাভ্যাস (Diet) কী তার ওপর। কিন্তু মাঝে মাঝে গ্যাসের কারণে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। গ্যাসের কারণে অনেক সময় যেমন বুকে ব্যথা হয়, তেমনি গ্যাস আটকে গেলে তা ব্যক্তির জন্য প্রাণঘাতী ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রায়শই সকালে ঘুম থেকে ওঠার (Waking Up) পরপরই পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরির সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। কিন্তু কেন এমন হয় জানেন? সকালে যদি আপনার পেটে প্রচুর গ্যাস হয় তবে, এর অনেক কারণে হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে পেটে গ্যাস তৈরি হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি কী খাচ্ছেন এবং কী খাচ্ছেন না, সেই বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নিই সকালে পেটে গ্যাস তৈরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে।
আগের রাতে গ্যাসযুক্ত খাবার খেয়েছেন: রাতের খাবারে যদি আপনি একটি বড় বাটি ভর্তি সালাদ খান, তাহলে পরের দিন সকালে আপনাকে পেট ফুলে যাওয়া এবং গ্যাসের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। যেসব খাবার গ্যাসের সমস্যা বাড়ায় যেমন মটরশুটি, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপিতে ফাইবার (Fibre) এবং প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate) বেশি থাকে। আপনি যখন এই জিনিসগুলি খান, তখন পেটে উপস্থিত জীবাণুগুলি তাদের কাজ শুরু করে, যার কারণে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং অন্যান্য ধরণের গ্যাস তৈরি হতে শুরু করে, যার কারণে আপনাকে খাবার হজম করতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। প্রচুর মশলাদার খাবার খেলেও গ্যাসের সমস্যায় পড়তে হয়।
আরও পড়ুন
পেটে খুব বেশি বাতাস যাচ্ছে: সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যদি আপনাকে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরির সমস্যায় পড়তে হয়, তবে এর একটি কারণ হল প্রচুর পরিমাণে বাতাস আপনার শরীরে যাচ্ছে। যখন এই বায়ু আপনার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমে প্রবেশ করে, তখন এটি গ্যাস, ফোলাভাব তৈরি করে।
পর্যাপ্ত জল না পান করা: যখন আপনি সঠিক পরিমাণ জল পান না করেন, তখন আপনাকে গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। কারণ পর্যাপ্ত জল ছাড়া আপনার মল শুষ্ক হয়ে যায়, যার ফলে এটি আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে বেশি সময় নেয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকস্থলীতে খাবার গেঁজে গিয়ে হাইড্রোজেন (Hydrogen), মিথেন (Methane) এবং কার্বন ডাই অক্সাইড (Carbon Dioxide) তৈরি হয়, যার কারণে আপনার পেট বেলুনের মতো ফুলতে শুরু করে।
পিরিয়ডের সময়: সকালে পেটে গ্যাস তৈরি হওয়ার আরেকটি কারণ হল মহিলাদের পিরিয়ড। মাসিকের সময় যে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঘটে, তা আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু হরমোন আপনার পেটের গতিশীলতা কমিয়ে দেয়। যার কারণে আপনাকে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তবে পিরিয়ড শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরির সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। আপনার মাসিকের পরে আপনার পেট আবার স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে শুরু করে।
পাকস্থলীর সংক্রমণের কারণে: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি আপনার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস বের হয়, তাহলে তা অন্ত্রে কোনও সংক্রমণের কারণে হতে পারে। এক ধরনের সংক্রমণ ঘটে যখন এইচ পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়া আপনার পেটে সংক্রমিত হয়। এই ব্যাকটেরিয়া খাবার, থুথু, বমি ও জলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
গ্যাস, ফুলে যাওয়া ছাড়াও এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে এই উপসর্গগুলি দেখা যায়-
- পেটে ব্যথা এবং জ্বালা।
- পেটে ব্যথা, পেট খালি থাকলে আরও খারাপ হয়।
- বমি বমি ভাব।
- খিদে চলে যাওয়া।
- কোনও কারণ ছাড়াই ওজন হ্রাস।
মেডিক্যাল কন্ডিশন: কিছু মেডিক্যাল অবস্থার কারণে পেটে খুব বেশি গ্যাস তৈরি হয়। যেমন ডাইভার্টিকুলাইটিস, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের কর্মহীনতা বা অন্ত্র বিকল।