বসন্তের আগমন হয়ে গেছে। শীতের বিদায় ঘণ্টা প্রায় বেজে গেছে বললেই চলে। পারদ ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এই সময় হাল্কা চাদর লাগলেও, ভারী সোয়েটার- জ্যাকেট বা লেপ- কম্বল আর গায়ে রাখা যাচ্ছে না। সময় এসে গেছে শীতের সমস্ত জিনিস আলমারিতে তুলে দেওয়ার। সেক্ষেত্রে একটা চিন্তা মাথায় ঘোরে, কীভাবে যত্ন নিলে ভাল থাকবে উইন্টার ওয়্যার। রইল কিছু টিপস।
শীতের জামাকাপড়ের যত্ন
* লেপ যদি শিমুল তুলোর হয়ে থাকে, তাহলে ধোওয়ার কোনও দরকার নেই। ড্রাইওয়াশও না। এক্ষেত্রে লেপ রোদে দিতে হবে। একই কথা কম্বলের ক্ষেত্রেও খাটে।
* তবে কম্বল কিন্তু ধোওয়া যায়। শ্যাম্পুতে মিনিট দশেক ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। কোনও রকম ঝামেলা না চাইলে, লন্ড্রিতে দিয়ে দিতে পারেন। কাঁথা পরিষ্কার করা কষ্টকর সেরকম নয়। বাড়িতে অনায়াসেই কাঁথা কেচে নেওয়া যায়। তারপর রোদে শুকিয়ে তা ব্যবহার করতে পারেন।
* পশমের জামা বা উলের সোয়েটার উষ্ণ জলে না ধুয়ে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিতে পারেন। তবে ধোওয়ার সময় জলে একটু পাতিলেবুর রস ও ভিনিগার দিয়ে দিতে হবে। এতে রং ঠিক থাকবে। লেদারের জ্যাকেট বাড়িতে পরিষ্কার না করে লন্ড্রিতে দিন। লেদার কখনও রোদে দেওয়া উচিত নয়।
* অনেক সময় সোয়েটার মাত্র কয়েকবার ব্যবহারের পরেই জলাঞ্জলি দিতে হয়৷ এই ঝামেলা থেকে মুক্তির উপায় আছে৷ শুধু ছোট্ট কয়েকটি উপায়েই শীতের পোশাক ধোওয়া হবে সহজ। রং এবং রূপ বজায় রেখেই একইভাবে বহুদিন ভাল থাকবে প্রিয় সোয়েটার কিংবা মাফলার।
* চিরুনি দিয়েও আঁচড়ে নিতে পারেন আপনার প্রিয় সোয়েটার। যদি ইতিমধ্যেই রোঁয়া উঠে গিয়ে থাকে, তবে কাজে আসবে চিরুনি৷ মাঝারি দাঁড়ের চিরুনি দিয়ে আলতো সোয়েটারে আঁচড়াতেই সোয়েটারের সব রোঁয়া উঠে আসবে৷
* ওয়াশিং মেশিনে সোয়েটার ধোবেন না৷ সোয়েটার আলাদাভাবে একসঙ্গে পরিষ্কার করতে হবে৷ দামি সোয়েটার এবং কোট বা জ্যাকেট ড্রাই ক্লিন করে নিলে ভাল।
* সোয়েটার পরিষ্কারের সময় বালতির জলে ভিনিগার মিশিয়ে নিন৷ অর্ধেক বালতি জলে এক কাপ ভিনিগার মিশিয়ে, শীতের জামাকাপড় ডুবিয়ে রাখলে সোয়েটারের রোঁয়া থাকবে না৷
* বাড়িতে যদি পিউমিক স্টোন থাকে, তাহলে সোয়েটার ধোওয়ার কাজে লাগাতে পারেন৷ পিউমিক স্টোন দিয়ে একটু ঘষলেই সোয়েটারের রোঁয়া উঠে যাবে৷ এক্ষেএে শেভিং রেজারও ব্যবহার করতে পারেন।