কনকনে শীতে আমাদের শরীরে রক্ত জমতে শুরু করে, যার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সর্দি-কাশি-সর্দির মতো রোগ আমাদের ঘিরে ফেলে। এই মরশুমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আদার কাড়া (Adrak Kadha) খাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এটা শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলুন আজকে আদার কাড়া (Ginger Kadha) সম্পর্কিত এমন অনেক উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানাই।
আদার কাড়া পানের উপকারিতা (Benefits Of Ginger Kadha):
মাথা ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক উপশম
শীতকালে ঠান্ডাজনিত কারণে মানুষ প্রায়ই মাথা ব্যথার অভিযোগ করে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি আদার কাড়া খান তবে আপনি অবিলম্বে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আসলে আদার অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মাথাব্যথা উপশমে উপকারী।
আরও পড়ুন:How To Reduce Bad Cholesterol: এই ৪ লোভনীয় খাবারেই বাড়ছে কোলেস্টেরল, ডায়েটে বাদ দিলেই সুস্থ
ঠান্ডা চলে যায়
আদার কাড়াতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা শরীরের ক্ষতি করে এমন ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করে। এটি খেলে সর্দি-কাশিতে অনেক উপশম হয় এবং গলা ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
জ্বর ও গায়ে ব্যথায় উপকারী
শীতকালে ঠান্ডার কারণে জ্বর আসলে সঙ্গে সঙ্গে আদার কাড়া তৈরি করে দিনে ৩-৪ বার খান। এতে করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ধীরে ধীরে জ্বরের প্রভাব কমতে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
পেশী ব্যথায় কার্যকর
যদি ঠান্ডার কারণে আপনার পেশীতে ব্যথা শুরু হয়, তাহলে আপনার আদার কাড়া খাওয়া শুরু করা উচিত। আদার ভিতরে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে পেশীর ব্যথায় অনেক উপশম হয়। এর সঙ্গে আপনার শরীরও ধীরে ধীরে ফিট হতে শুরু করবে।
পাচনতন্ত্রের জন্য চমৎকার
যাদের প্রায়ই পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজমের সমস্যা থাকে, তাদের আদার কাড়া খাওয়া উচিত। বমি বমি ভাব বা বমি লাগলেও এটা খাওয়া যেতে পারে। এতে করে আপনার পরিপাকতন্ত্র অনেক ফিট হয়ে যায়।
এইভাবে আদার কাড়া তৈরি করুন
প্রথমে একটি পাত্রে ২ কাপ জল দিয়ে গরম করুন। এরপর এতে তুলসী পাতা, ১ টুকরো দারুচিনি, আদা ও কয়েকটা গোলমরিচ দিয়ে দিন। এরপর ওই গরম জল এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর প্রায় ৫ মিনিট জল ফুটিয়ে নিন। এরপর সেই জল নামিয়ে ছেঁকে নিন। তারপর সেই জল চায়ের মতো ধীরে ধীরে খান।