অনকেরই নিজের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়, আর তা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। তবে অনেকসময় ইগো বা অহঙ্কার এমন জায়গায় পৌঁছায় যে নিজের পার্টানারের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তো দূর কি বাত, কথা বলাও বন্ধ করে দেন অনেকে। এবার তেমনই এক আজব কাহিনি শোনা গেল, যেখানে পার্টনারের নখ বড় না হওয়ার কারণে তার সঙ্গে সেক্সে অসম্মতি জানান এক যুবক। গোটা বিষয়টি একটি রিলেশনশিপ পৌর্টালে জানিয়েছেন এক মহিলা।
ওই মহিলা জানান, তাঁর বয়স ২৮ বছর। তাঁর পার্টনার তাঁর থেকে ১ বছরের ছোট। তাঁরা ৩ বছর একসঙ্গে থাকছিলেন। তাঁর বয়ফ্রেন্ড সবসময়ই তাঁর লুক নিয় কথা বলতেন। এমনকী তাঁরা কখনও একসঙ্গে বাইরে গেলে যতক্ষণ না তাঁর বয়ফ্রেন্ডের মনে হতো যে তাঁকে ভাল লাগছে ততক্ষণ তিনি তাঁর হাতও ধরতেন না।
মহিলা আরও জানান, তাঁর জন্মদিনে তাঁর বয়ফ্রেন্ড সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করেন এবং তাঁর নখ ও আইশ্যাডো নিয়ে কথা বলেন। তাঁকে একটি ভাউচারও দেন। কিন্তু ওই মহিলা পেশাগতভাবে নার্স। তাই পেশার কারণ তিনি বড় নখ রাখতে পারেবন না।
এরপর এক রাতে তাঁরা একসঙ্গে বিছানায় ছিলেন। সেইসময় ওই মহিলা তাঁর পার্টনারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই সময় তাঁর পার্টনার তাঁকে সরিয়ে দেন এবং প্রশ্ন করেন, কেন তিনি ওই ভাউচারটি ব্যবহার করছেন না? তার প্রেক্ষিতে ওই মহিলা তাঁকে বোঝান যে তিনি তেমনটা করতে পারবেন না। তা শুনে তাঁর পার্টনার উপহাস করেন এবং গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। মহিলা আরও জানাচ্ছেন যে, তাঁর পার্টনার তাঁকে একবার বলেছিলেন যে যদি তিনি তাঁর লুকের ওপরে গুরুত্ব দেন তাহলে তিনিও তাঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করবেন।
এই বিষয়ে রিলেশানশিপ বিশেষজ্ঞরা ওই মহিলাকে পরামর্শ দেন যে, এটাই ঘুম থেকে জাগার সময়। তাঁর বয়ফ্রেন্ডের কথাবার্তায় ঘৃণা, অহঙ্কার ও দমিয়ে রাখার প্রবণতা স্পষ্ট। তিনি কী তা নিয়ে তাঁর বয়ফ্রেন্ডের কোনও মাথাব্যাথা নেই। তিনি শুধু লুকে গুরুত্ব দেন। কিন্তু কাউকে ভালবাসার কোনও শর্ত থাকে না। তাই ওই মহিলার বয়ফ্রেন্ড তাঁর জীবন নষ্ট করার আগেই সেই সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসার বিষয়ে তাঁর ভাবা উচিত।