
Tourist Spot Visit Darjeeling: দার্জিলিং পাহাড়ে পর্যটকদের সাইটসিইং করানো নিয়ে যে জট তৈরি হয়েছিল, তা অবশেষে কেটে গেল। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং জেলা শাসকের দফতর এবং শিলিগুড়ি মহকুমা শাসকের দফতরে পাহাড় ও সমতলের গাড়িচালকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, একই জেলায় সব গাড়ি কোনো বাধা ছাড়াই পাহাড়-সমতলজুড়ে চলাচল ও সাইটসিইং করাতে পারবে।
সম্প্রতি এই সাইটসিইং নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, পাহাড়ের চালকরা সমতলের গাড়িগুলিকে টাইগার হিল, সিটং, লামাহাটা সহ বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে বাধা দিচ্ছিলেন। এমনকি কিছু চালককে খাদা পরিয়ে ‘শুধু যাত্রী নামিয়ে ফিরে যেতে হবে’, এই নির্দেশও দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন সমতলের চালকরা। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যেও, কারণ অধিকাংশ পর্যটক বুকিংয়ের সময়ই সাইটসিইং পরিষেবা নেন।
প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করায় মঙ্গলবার মহকুমা শাসকের অফিসে বিক্ষোভ দেখান চালক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সমস্যার সমাধান দাবি করেন। এরপরই বৃহস্পতিবার বৈঠকের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
দার্জিলিংয়ে বৈঠকে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুমিত রাই, আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক মিল্টন দাস এবং স্থানীয় পর্যটন-পরিবহণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা। শিলিগুড়ির পক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মহকুমা শাসক বিকাশ রুহেলা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ এবং সমতলের পর্যটন ও পরিবহণ ব্যবসায়ীরা। প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। একই জেলার মধ্যে পাহাড় ও সমতল, সব গাড়ি সব জায়গায় যেতে পারে। কোথাও বাধা বা অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে পুলিশ ও প্রশাসনকে অবিলম্বে জানাতে হবে। প্রশাসন আইন মেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
বৈঠকের পরে পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল ও দেবাশিস মৈত্র জানান, প্রশাসনের সিদ্ধান্তে তাঁরা সন্তুষ্ট। শুক্রবার থেকেই পাহাড়-সমতলে স্বাভাবিকভাবে পর্যটকবাহী গাড়ি চলবে। যদিও দার্জিলিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল অপারেটরস (ডাটা)-র সভাপতি প্রদীপ লামা দাবি করেছেন, তাঁদের বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়নি। তাঁর মতে, শিলিগুড়ি থেকে প্রচুর গাড়ি প্যাকেজ টুর নিয়ে পাহাড়ে উঠে সমস্ত দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেয়। এতে পাহাড়ের স্থানীয় চালকদের রোজগার কমে যাচ্ছে। প্রশাসন যদি তাদের উদ্বেগটিকে গুরুত্ব দিত, তাহলে আরও ভালো সমাধান বের হত। তবে এখন বড়দিনের আগে পাহাড়ে পর্যটকের ঢল। সাইটসিইংয়ের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে। জট কাটায় আপাতত স্বস্তিতে পর্যটক, চালক ও ব্যবসায়ী সবাই।