Gorumara Elephant Safari Resume: দীর্ঘদিন পরে গরুমারায় ফের হাতি সাফারির সুযোগ। হাতি সাফারি চালু হওয়ার পাশাপাশি, টিকিটের দাম কম হওয়ায় পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে খুশির হাওয়া। তবে অনলাইনে টিকিট এখনও চালু হয়নি। অফলাইনে লাইনে দাঁড়িয়েই টিকিট কাটতে হবে। তবু শেষমেষ সাফারি চালু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস পর্যটন সার্কিটে।
গরুমারায় হাতি সাফারির জন্য দুটি জায়গায় এলিফ্যান্ট ক্যাম্প রয়েছে। একটি ধূপঝোরায়, অপরটি রামসাইয়ে। তবে রামসাইয়ের পরিষেবাটি বন্ধ রয়েছে। ধূপঝোরা ক্যাম্প থেকে হাতি সাফারির জন্য অনলাইনে টিকিট পেতেন পর্যটকরা। তবে, গত প্রায় দু’মাস ধরে অনলাইনে টিকিট কাটা যাচ্ছিল না। জলদাপাড়ায় সাফারি চালু থাকলেও গরুমারায় সাফারিই বন্ধ ছিল।অবশেষে ফের গরুমারায় হাতি সাফারির শুরু হচ্ছে। শনিবার থেকে পর্যটকদের জন্য হাতি সাফারির টিকিট অফলাইনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।
সাফারির নিয়ম ও টিকিট
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা, সাড়ে ৭টা ও বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে দিনে তিনবার ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্প থেকে হাতি সাফারির সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। এর জন্য পর্যটকদের মাথাপিছু গুনতে হবে ১২০০ টাকা করে। যা এতদিন ছিল ১৪০০ টাকা। প্রতি শিফটে ছয়জন হাতি সাফারির সুযোগ পাবেন। কুনকি হাতি মাধুরী ও জেনি ঘোরাবে বন। লাটাগুড়ি প্রকৃতি ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি মূর্তি টিকিট কাউন্টার থেকে সাফারির টিকিট কাটা যাবে।
বনদফতর ও পর্যটন সার্কিট সূত্রে জানা গিয়েছে, গরুমারার রামশাই ও ধূপঝোরা থেকে হাতি সাফারি হত। এর জন্য ফি মাথাপিছু ১৪০০ টাকা। অনলাইনেই হাতি সাফারির টিকিট কাটা যেত। কিন্তু গরুমারা ও জলদাপাড়ায় হাতি সাফারির অনলাইন টিকিট মিলছে না। এদিকে জলদাপাড়ায় হাতি সাফারি চালু থাকলেও গরুমারায় বন্ধ ছিল। ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের মধ্যেও।
এদিকে জিপ সাফারির টিকিটও অফলাইনে দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু বন দফতরের পক্ষ থেকে জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের জন্য কোনওরকম প্রবেশমূল্য সংগ্রহ করা হচ্ছে না .তাই অনলাইনের মাধ্যমে সিট বুক করার সুবিধা আপাতত বন্ধ আছে। তাই পর্যটকদের সাফারি নিশ্চিত করার জনা কাউন্টার থেকে অনুমতি পত্র দেওয়া হবে। যাতে কেউ সিট বুক করে পরে হাজির হলে ওই সিট খালি না যায়। তাতে যারা উপস্থিত থাকবেন তারা বঞ্চিত হবেন। তাই সাফারির দিন, সাফারি শুরু হবার একঘণ্টা আগে থেকে সাফারির অনুমতিপত্র দেওয়া হবে (কেবলমাত্র জিপসি সাফারির ক্ষেত্রে)।