Doklam Tourism Spot: কৈলাস-মানসরোবর যাত্রা চালু হয়েছিল ৫ বছর পর। এবার সিকিমের ভারত-চিন সীমান্তের বিবদমান এলাকা পর্যটনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রকের ছাড়পত্র চলে এসেছে। সিকিম সরকারের তরফে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে ডোকলাম সীমান্ত।
সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩,৭৮০ ফুট উচ্চতায় মালভূমি ডোকালামের জন্য নতুন রাস্তা তৈরি, গাড়ি রাখার জায়গা তৈরির কাজে চালু হচ্ছে শীঘ্রই। আগামী দেড় মাসের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। গ্যাংটক থেকে নাথু লা’ পর্যটন কেন্দ্রের দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে পর্যটকরা, তখন ৬৮ কিলোমিটার দূরের ডোকলামও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। হাই অল্টিটিউড সিকনেসের কারণে যাতে শারীরিক সমস্যায় না পড়তে হয় পর্যটকদের, তার জন্য ডোকালামে চিকিৎসার বন্দোবস্ত থাকবে। দায়িত্ব দেওয়া হবে সেনাকে।
সিকিমের পর্যটন সার্কিটের খবর, 'প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ২৫টি গাড়ির পারমিট দেওয়া হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ফলে নতুন কর্মসংস্থানের পথ খুলবে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যালের মনে করেন, ‘যত বেশি ডেস্টিনেশন বাড়বে, ততই নতুন পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। উপকৃত হবে স্থানীয় এলাকা। চাঙ্গা হবে অর্থনীতিও।
পুজোর আগেই পর্যটকদের প্রবেশে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিম প্রশাসন (Sikkim Administration)। বিদেশমন্ত্রক সবুজ সংকেত দেওয়ায় দ্রুত পরিকাঠামো গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাহাড়ি রাজ্যটির পর্যটন দপ্তর। ফলে নাথু লা, চো লা’র পর আরও একটি ‘সংঘাত ভূমি’ হয়ে উঠছে পর্যটনস্থল। সিকিম পর্যটন দপ্তরের প্রধান সচিব সি সুভাকর রাও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ডোকলামে পর্যটন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই পর্যটকদের ছাড়পত্র দেওয়া শুরু হবে।’
১৯৬৭ সালে সীমান্তের অধিকার নিয়ে ভারত-চিন মুখোমুখি হয়েছিল নাথু লা এবং চো লা’য়। সংঘাতে জড়িয়েছিল ভারতীয় সেনা ও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। ওই দুটি জায়গাই এখন পর্যটনকেন্দ্র। এবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে ভারত-ভুটান-চিন, ত্রি-সংযোগস্থলে অবস্থিত ডোকালাম। সীমান্তের এই এলাকাকে পর্যটন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত রণভূমি দর্শন’।