
আপনি কি তুষারপাত পছন্দ করেন? বরফে মোড়া পাহাড়, হিমেল হাওয়া আর নিরিবিলি প্রকৃতি কি আপনাকে টানে? তাহলে শীতের মরসুমে ভারতের কিছু জায়গা একবার ঘুরে না এলে যেন যাত্রাই অপূর্ণ। পাহাড়ি এই অঞ্চলগুলিতে তাপমাত্রা অনেক সময় শূন্যের নিচে নেমে যায়। কোথায় কোথায় যেতে পারেন, জানেন?
দ্রাস
জম্মু-কাশ্মীরের দ্রাসের নাম এখনও অনেকেই শোনেননি। কিন্তু পৃথিবীর দ্বিতীয় শীতলতম জনবসতিপূর্ণ জায়গা এটি। লাদাখের প্রবেশদ্বার বলে পরিচিত এই শহরে শীতের রাতে তাপমাত্রা নেমে যায় শূন্যের বহু নিচে। কখনও কখনও মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলে। জমে যাওয়া বাতাস আর অবিরাম তুষারপাতই দ্রাসের পরিচয়।
কার্গিল
যুদ্ধের জন্য বিখ্যাত কার্গিল শীতের সময় আরও বেশি পরিচিত হয় এর হাড়কাঁপানো ঠান্ডার জন্য। শীতে কার্গিলের তাপমাত্রা কখনও মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসে। ভারী তুষারপাতের ফলে গোটা অঞ্চল বরফে চাদরের মতো ঢাকা পড়ে থাকে।
লেহ
১১ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত লেহ যেন শীতের আরেক স্বর্গভূমি। অক্টোবর থেকে মার্চ—পাঁচ মাস ধরে পুরো এলাকা তুষারে ঢেকে থাকে। তাপমাত্রা অনেক সময় মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। পাহাড় ঘেরা এই শহরে নীলনদীর মতো স্বচ্ছ নদী ও নির্মল প্রকৃতিই পর্যটকদের টেনে আনে।
তাওয়াং
অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং তার মনোরম সৌন্দর্য আর ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মঠের জন্য বিখ্যাত। শীতে এখানকার তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ১০ ডিগ্রির কাছাকাছি। তুষারে মোড়া পাহাড় আর নিরিবিলি পরিবেশ ভ্রমণপিপাসুদের মন ভরিয়ে দেয়।
আউলি
উত্তরাখণ্ডের আউলি সারা বছরই ভ্রমণপ্রেমীদের ভিড়ে সরগরম। শীতে জমে যায় গোটা শহর। তাপমাত্রা নেমে যায় শূন্যের নিচে, কখনও আবার মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও পৌঁছয়। নন্দা দেবী মন্দির আর মানা পর্বতের শৃঙ্গ আউলির সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
স্পিতি উপত্যকা
হিমাচল প্রদেশের স্পিতি ঘুরতে গেলে যেন অন্য জগতে পা রাখা। শীতে তাপমাত্রা অনেক সময় মাইনাস ২০ ডিগ্রি বা তারও নিচে নেমে আসে। পাহাড়, নদী আর নীল আকাশের এই মিলনভূমিতে পর্যটকেরা প্রায় সারা বছরই ভিড় করেন।