Adventure Sports Resumes In Darjeeling: তিস্তা-রঙ্গিতের পর এবার ঘিস। ওয়াটার অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে নাম লেখাল ডুয়ার্সের এই নদী। ডিসেম্বরে সফল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। এরপরই চালু করা হয় স্নোরকেলিং, কায়াকিং। কালিম্পংয়ের ডোভান থেকে ঘিস নদীতে এই সুযোগ মিলবে।
অন্যদিকে, অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসকে জনপ্রিয় করতে ইয়েলবংয়ে আয়োজিত হবে সেকেন্ড অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম ফেস্টিভাল। ইয়েলবং ইতিমধ্যেই অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয়। উত্তরবঙ্গের একমাত্র গিরিখাত এখানেই রয়েছে। দেশের নানা প্রান্তের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সেখানকার রিভার ক্যানিয়ন ট্রেকিং। এবার ডোভানে চালু হল কায়াকিং আর স্নোরকেলিং। ইয়েলবংয়ে রিভার ক্যানিয়ন ট্রেকিংয়ের সৌজন্যে স্থানীয় অর্থনীতি মজবুত হয়েছে। এক্ষেত্রেও সেই আশা করা হচ্ছে।
খরচ কত?
যে সংস্থা এটির বন্দোবস্ত করেছে, সেই সংস্থার তরফে অর্ণব মণ্ডল সংবাদমাধ্য়মকে জানিয়েছেন, মাথাপিছু পাঁচশো টাকা খরচ করতে হবে নতুন দুই ওয়াটার অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের জন্য। সরকারি সমস্ত সুরক্ষামূলক নির্দেশিকা মেনে এটা চালু করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনেস্ট্রেশন (GTA)।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম (ACT)-এর তরফে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের ওপর নজর দেওয়া হচ্ছে। সংস্থার কনভেনার রাজ বসুর মন্তব্য, ‘ওয়াটার অ্যাডভেঞ্চারের প্রতি নজর দিতে এধরনের ফেস্টিভাল আয়োজন। উত্তরবঙ্গের অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের কাছে যা বড় সুযোগ।’ পর্যটকদের সুরক্ষার স্বার্থে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে গাইডদের বলে জানানো হয়েছে। গোয়াতে যেমন সুযোগ মেলে কায়াকিং,স্নোরকেলিংয়ে এখানেও মিলবে সেই সুযোগ। এছাড়া‘মেঘালয়,হৃষিকেশ কিংবা অরুণাচলপ্রদেশের গিরিখাতে এমন কায়াকিংয়ের সুযোগ রয়েছে। ডোভানে অ্যাডভেঞ্চারের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নেওয়ারও সুযোগ মিলবে।
এছাড়াও জিটিএর তরফে সান্দাকফুতে ট্রেকিং, প্যারাগ্লাইডিং, সাইক্লিং, সাইকেলিং চালু করা হয়েছে। দীর্ঘ সাত বছর দার্জিলিংয়ে বন্ধ ছিল প্য়ারাগ্লাইডিং। শুধু পাহাড়ের কালিম্পংয়ের ডেলোতেই এই সুবিধা ছিল। দার্জিলিংয়ের গ্লাইডিং শুরু হওয়ার ফলে দার্জিলিংয়ের আকর্ষণ আরও বেড়েছে বলে জিটিএ টুরিজম ও পর্যটন সার্কিটের মত। শুধু দার্জিলিং নয় কার্শিয়াংয়েও আকর্ষণ বাড়াতে প্যারাগ্লাইডিং শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যেটা গিদ্দাপাহাড় থেকে শিলিগুড়ির কাছে রোহিনী পর্যন্ত যা চালু হতে পারে।