Advertisement

Gurudongmar Lachung: নজিরবিহীন! গুরুদোংমার যাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করলেন স্থানীয়রাই

Gurudongmar Lachung: তীব্র প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও থেমে থাকেনি লাচেন। নিজেরাই হাতে তুলে নিয়েছেন রাস্তা তৈরির কাজ, যাতে আবার পৌঁছনো যায় পবিত্র গুরুদোংমার হ্রদে। চলছে কাজ জোরকদমে।

নজিরবিহীন! গুরুদোংমার যাওয়ার বিকল্প রাস্তা ও সেতু তৈরি করছেন স্থানীয়রাইনজিরবিহীন! গুরুদোংমার যাওয়ার বিকল্প রাস্তা ও সেতু তৈরি করছেন স্থানীয়রাই
সংগ্রাম সিংহরায়
  • গ্যাংটক,
  • 21 Apr 2025,
  • अपडेटेड 3:51 PM IST

Gurudongmar Lachung: ২০২৩ সালের অক্টোবরে উত্তর সিকিমে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর, গুরুদোংমার হ্রদের পথ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। দক্ষিণ লোনাক হ্রদের বাঁধ ভেঙে হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড (GLOF)-এর জেরে তিস্তা অববাহিকার বহু অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ভেঙে পড়ে একের পর এক সেতু, ধুয়ে যায় রাস্তা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লাচেন এবং আশপাশের এলাকা।এই দুর্যোগে গুরুদোংমার যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা জিমা (Zeema)-র রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। মাটি চাপা পড়ে যায় রাস্তা, ধস নামে পাহাড় থেকে। আর তার জেরে শুধুমাত্র তীর্থ ও পর্যটন নয়, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পাহাড়ি গ্রামের মানুষও।

বারবার সাহায্যের আবেদন জানানো হলেও সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছয়নি। আর তখনই নিজেদের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেন লাচেনবাসীরা। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ট ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "গত কয়েক বছর ধরে উত্তর সিকিম পর্যটনের ছোঁয়া থেকে দূরে। কেউ কেউ যাচ্ছেন বটে, তবে সার্বিক যাত্রা তেমনভাবে নেই। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বারবার বিঘ্নিত হয়েছে যাত্রা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে স্থানীয়দের। তাই তাঁরাই শেষমেষ হাতে তুলে নিয়েছে এই দায়িত্ব। তাতে একদিকে যেমন রাস্তা-সেতু তৈরিতে সাহায্য হবে, তেমনই বিশ্বের পর্যটকদের কাছে একটা সদর্থক বার্তা যাবে। এই অঞ্চলের প্রতি আগ্রহ তৈরি করবে।"

আরও পড়ুন

জনগণ হাতে তুলে নিয়েছে পুনর্গঠনের দায়িত্ব
লাচেন জুমসা ও স্থানীয় হোটেল মালিকদের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এক ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ। পাহাড়ি প্রতিকূল পরিবেশ, উচ্চতা এবং দুর্গমতা উপেক্ষা করে, স্থানীয় গ্রামবাসী, স্বেচ্ছাসেবক, হোটেল কর্মী ও শ্রমিকরা দিনরাত খেটে বানিয়ে চলেছেন বিকল্প রাস্তা ও একটি নতুন সেতু। এই প্রকল্প শুধুমাত্র পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত নয়, এটি গুরুদোংমারের ধর্মীয় গুরুত্ব এবং লাচেনপাসদের সামাজিক দায়বদ্ধতার এক দুর্লভ উদাহরণ।

পর্যটন ও জীবিকার পথে আশার আলো
এই নতুন রাস্তা ও সেতু নির্মাণ শেষ হলে, গুরুদোংমার হ্রদের সঙ্গে আবার সুরক্ষিত যোগাযোগ স্থাপন হবে। পর্যটন ঘুরে দাঁড়াবে, স্থানীয় মানুষ ফিরে পাবেন তাঁদের রুজি-রোজগার। ইতিমধ্যেই পুরনো রুটটি অস্থায়ীভাবে ১৯ এপ্রিল থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে, যা পর্যটন শিল্পের জন্য খানিকটা স্বস্তির খবর।

Advertisement

 

এই লড়াই শুধুই পরিকাঠামোর নয়—এটা এক জনগোষ্ঠীর আত্মবিশ্বাস, ঐক্য ও আস্থা নিয়ে এগিয়ে চলার কাহিনি। সিকিমের দুর্গম পাহাড়ে আশার নাম আজ লাচেন।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement