Lataguri Horse Riding: দার্জিলিং এর হাজার আকর্ষণের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ দার্জিলিং ম্যাল। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা উঁচু-নীচু এলাকার মধ্যে অনেকটা সমতল এলাকা। যেখানে দিনভরের ক্লান্তি কাটাতে এক কাপ কফি অথবা দার্জিলিং টি নিয়ে কয়েক ঘণ্টা কখন কেটে যাবে টের পাবেন না। সঙ্গে যদি কচিকাঁচারা থাকে, তাহলে ম্যালে ঘুরে বেড়ানো, ঘোড়সওয়ারির আকর্ষণ নেহাত কম নয়। অনেক শিশু-কিশোররা ঘোড়ায় চড়ার আবদার নিয়েই মেলা পৌঁছন। ফলে বাড়তি রেস্ত আদায় হয় পর্যটকদের কাছ থেকে। এ তল্লাটে মিরিক ছাড়া এই রকম ঘোড়ায় চড়ার সুযোগ আর বড় একটা কোথাও নেই। ঘোড়ায় চড়ার জন্য যে সমতল দরকার এতটা সমতল এলাকাও আর নেই।
তবে সমতলের একটা আলাদা, সমতল জায়গা রয়েছে কিন্তু সব জায়গাতে ঘোড়া রাখা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার ঝুঁকি বা ঝামেলা নিতে চান না কেউই। তাই আকর্ষণ থাকলেও খুব একটা উদ্যোগ নেননি কেউই। এবার সেই আক্ষেপ ঘুচতে চলেছে পর্যটকদের। এবার ডুয়ার্সের জঙ্গল ঘুরতে গিয়েও আপনি ঘোড়ায় চড়ার মজা নিতে পারবেন। এটা কল্পনা বা উদ্যোগ নয় ইতিমধ্যেই চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডুয়ার্সের গরুমারা জঙ্গলের ধারে লাটাগুড়িতে এবার ঘোড়সওয়ারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর মেরি ক্রিসমাস ও হ্যাপি নিউ ইয়ার ফেস্টিভ্যাল নাম দিয়ে বিশেষ উৎসবের সূচনা হবে লাটাগুড়িতে। আর সেখানেই দার্জিলিং ম্যালের একটুকরো স্বাদ নিতে পারবেন পর্যটকরা। লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা মিলে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। আয়োজকদের উদ্দেশ্য ম্যালের স্বাদ লাটাগুড়িতে এনে দিতে চেষ্টা করা।
সংবাদমাধ্যমকে আয়োজকরা জানিয়েছেন লাটাগুড়ির এই জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে। তাই এটিকে এক টুকরো ম্যালের মত করে তুলে ধরে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। যাঁরা পাহাড়ের উচ্চতায় অস্বাচ্ছন্দ বোধ করেন অথবা অন্য কোনও কারণে পাহাড়ে যেতে পারেন না। তাঁরা কিছুটা এখানে সেই অনুভব নিতে পারবেন। পাশাপাশি এখানে বাউল গান, আদিবাসী নৃত্য-গীত পরিবেশনে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান ও উৎসব উইকেন্ড জুড়ে নিউ ইয়ার পর্যন্ত চলবে বলে জানা গিয়েছে।