NBSTC Puja Package: পুজো মানেই নতুন জামাকাপড়, নতুন গল্প আর অবশ্যই ভ্রমণের পরিকল্পনা! সেই আনন্দে এবার নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (NBSTC)। পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ‘সবুজের পথে হাতছানি’ প্যাকেজ নিয়ে হাজির নিগম। পাহাড়-ডুয়ার্স থেকে শুরু করে শহরের পুজো পরিক্রমা, সবই ধরা দেবে এক ছাতার তলায়।
প্যাকেজের খরচ কত?
বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকেই চালু হয়ে গিয়েছে এই পর্যটন পরিষেবা। ভ্রমণের খরচ? মাত্র ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকার মধ্যেই মিলবে খাওয়াদাওয়া সহ প্যাকেজের সুবিধা।
প্যাকেজের ডিটেলস
নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানালেন, “ডে ট্রিপ, দু’দিন এক রাত কিংবা তিন দিন দুই রাতের প্যাকেজ, সব ধরনের পর্যটকদের জন্যই ভাবা হয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার থেকে মিলবে এই পরিষেবা। অনলাইন ও অফলাইন, দু’ভাবেই বুকিং করা যাবে।"
প্যাকেজে কোথায় কোথায় ঘুরবেন
নতুন এই প্যাকেজে যাত্রীরা ঘুরে দেখতে পারবেন দার্জিলিং, কালিম্পং, লাভা, লোলেগাঁও, গ্যাংটক, ঝালং, বিন্দু, লাটাগুড়ি, মূর্তি, গোরুমারা, জলদাপাড়া, রাজাভাতখাওয়া, জয়ন্তী-সহ একাধিক জনপ্রিয় গন্তব্য। থাকছে এসি ও নন-এসি দুই ধরনের বাস, যার মধ্যে ১৬ এবং ২৬ সিটের কোচ থাকবে প্রাথমিকভাবে। চাহিদা বাড়লে বাড়ানো হবে বাসের সংখ্যাও।
সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ
শুধু পাহাড় নয়, এবারের পুজোয় শহরের ঠাকুর দেখার জন্যও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। চতুর্থী ও পঞ্চমীতে বয়স্কদের কথা মাথায় রেখে শিলিগুড়িতে চালু হচ্ছে পুজো পরিক্রমার স্পেশাল বাস। সন্ধ্যা ছ’টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত বাসে করে শহরের বিভিন্ন নামী মণ্ডপ ঘোরানো হবে তাঁদের। বুকিং করতে হবে শিলিগুড়ি বাস টার্মিনাসে গিয়ে।
পুজোর আগেই নতুন রুটে বাস চালু
এদিকে, শনিবার নতুন দুটি রুটে বাস পরিষেবা চালু করল এনবিএসটিসি। শিলিগুড়ি-ফরাক্কা ও শিলিগুড়ি-কোচবিহার রুটে চলবে নতুন বাস। পার্থপ্রতিমবাবু জানান, “রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ৩০টি CNG বাস দিয়েছে। ১০টি চালানো হচ্ছে শিলিগুড়ি-কোচবিহার রুটে। বাকি বাস রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণে বিভিন্ন টার্মিনাস থেকে চলবে।”
পুজোর আগে আরও এক সুখবর, রবিবার থেকে আবারও চালু হচ্ছে শিলিগুড়ি-গ্যাংটক বাস পরিষেবা। ফলে যাঁরা সিকিমে পুজো কাটাতে চান, তাঁদের জন্য থাকছে সরকারি বাসের সুবিধা।সব মিলিয়ে এবারের দুর্গোৎসবে ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য একাধিক উপহার নিয়ে হাজির এনবিএসটিসি। পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশা, এই উদ্যোগে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পে ফিরবে নতুন প্রাণ।