Palmajua Of Darjeeling Near Mirik: শীত গেছে তা যাক। এখন পুরোদমে পরীক্ষার প্রস্তুতি বা পরীক্ষা শুরু হয়েছে বহু স্কুলে। কিছু স্কুলে পরীক্ষা শেষ হয়ে নতুন ক্লাসে যাওয়া শুরু হয়েছে। ফলে এই বসন্ত সবার মনেই ছুটি ছুটি মেজাজ এনে দিয়েছে। ক্যালেন্ডারে অবশ্য ফাল্গুন মাস পড়ে গিয়েছে। তবে যাই হোক এই সময় পাহাড় থেকে সমুদ্র সব জায়গাতেই মোটামুটি ঠাসাঠাসি ভিড়। আবার অফবিট জায়গারও অভাব নেই। অনেকেই দার্জিলিং গেলেও এখন থাকতে চান একটু অন্যরকম জায়গায়। কোলাহল থেকে দূরে। আর এমন জায়গা খুঁজতে গিয়ে যদি পান নাম না জানা অচেনা কমলালেবু ঘেরা গ্রাম আর তার খরচ হয় আয়ত্বের মধ্যে তাহলে তার চেয়ে ভাল আর কিছু হয় কি?
অনেকেই কমলালেবু গ্রাম বলতেই সিটং আর মিরিকের পালমাজুয়াকে চেনেন। এখানে এলেই কমলালেবুর বাগান দেখা যায়। এতোটাই কমলালেবু পাওয়া যায় এখানে যে গোটা গ্রামটাই প্রায় কমলা রঙের বলে মনে হয়। তার সঙ্গে সুন্দর একটা গন্ধ। সেই সিটংয়ে এতোটাই ভিড় হয় যে থাকার জায়গা পাওয়া কঠিন। তবে এই দুই জায়গা ছাড়াও যে কমলালেবু গ্রামে যাওয়া যায়, অনেকেই জানেন না। এবার আপনাকে সেই খোঁজ দেব।
শিলিগুড়ি থেকে অল্প দূরে চলে আসুন শাসিং ভ্যালি। একেবারেই অচেনা গ্রাম। এখানেও কমলালেবুর বাগান ভরা। সিটংকে কড়া টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই শাসিং ভ্যালি। বাইকারদের পক্ষেও দারুণ জায়গা এটি। যাঁরা হোলির ছুটিতে বা পরীক্ষার পরও ভাবছেন দার্জিলিংয়ের কমলালেবু দেখতে যাবেন তাঁরা চোখ বন্ধ করে চলে অসতে পারেন এই শাসিং ভ্যালিতে। এখনও গাছে গাছে ঝুলছে কমলালেবুর থোকা।
কীভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় থেকে ঘুম পর্যন্ত চলে আসুন শেয়ার গাড়িতে। জনপ্রতি ভাড়া নেবে আড়াইশো টাকা। ঘুম থেকে লেপচা জগতে যাওয়ার পথে পড়বে ঘুম ভাঞ্জে। সেখান থেকেই রাস্তা বেঁকে গিয়েছে শাসিং ভ্যালির দিকে। ৫০০ টাকা একেবারেই অফবিট জায়গা এটি। এই ভ্যালির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে রঙ্গিত নদী। এখানে একেবারে অরগ্যানিক পরিবেশে থাকতে পারবেন। নেই কোনও দূষণও। তার সঙ্গে কমলালেবুর বাগান। স্বাদে গন্ধে যার সঙ্গে কলকাতার কমলালেবুর মিল পাবেন না। কাজেই এবার শীতে কমলালেবু দেখতে হলে চলে আসুন এখানে।
খরচ কত?
দোলের ছুটিতে ঘুরে আসুন শাসিং ভ্যালি। থাকার জন্য হোম স্টে রয়েছে। যার খরচ খাওয়া দাওয়া সহ জনপ্রতি ১৫০০ টাকা ।