তবে আপনি যদি এখনও ঠিক করে উঠতে না পারেন পুজোর ছুটিতে কোথায় যাবেন, তাহলে চিন্তার কিছু নেই। আজ রইল উত্তরবঙ্গের কয়েকটি অফবিট গন্তব্যের সন্ধান, যেখানে ঘুরে আসতে পারেন কম খরচে, নিরিবিলি পরিবেশে, প্রকৃতির কোলে।
কোলবং
দার্জিলিং জেলার এক নির্জন সুন্দর গ্রাম কোলবং। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ১২০ কিমি দূরে অবস্থিত এই জায়গা একেবারে শান্ত পরিবেশে ঘেরা। চারদিকে বিস্তীর্ণ চা-বাগান, ঠান্ডা হাওয়া আর দূর থেকে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার মনকাড়া রূপ। এখান থেকে আপনি সূর্যোদয়ের সময় পাহাড়ের রং বদলানো দেখতে পারবেন খুব কাছ থেকে। যাওয়ার জন্য শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করলেই সুবিধা হবে।
বারমেক
কালিম্পং জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম বারমেক, এখনও অনেকেরই অজানা। এখান থেকেও স্পষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। যারা প্রকৃতিপ্রেমী এবং ভিড়ের বাইরে কিছুদিন নিরিবিলিতে কাটাতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ জায়গা বারমেক। এখানে বেশ কিছু হোমস্টে পাওয়া যায়, যেগুলো আগেভাগে বুক করলে সাশ্রয়ী দামে থাকা সম্ভব।
দারাগাঁও
আরও একটি মনোরম জায়গা হল দারাগাঁও, যা কালিম্পং শহর থেকে একটু দূরে। রামধুলার কাছেই অবস্থিত এই গ্রামটি সবুজ পাহাড়ে ঘেরা, আর এখান থেকে একসাথে দেখা যায় দার্জিলিং, কালিম্পং আর সিকিমের পাহাড়ের অপূর্ব দৃশ্য। এখানেও রয়েছে বেশ কিছু ছিমছাম হোমস্টে, যেগুলো দু-তিন দিনের ছুটির জন্য একেবারে উপযুক্ত।
গুরদুম
যদি আপনি ট্রেকিং আর পাহাড়ি পথ ভালোবাসেন, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন গুরদুম। মানেভঞ্জন থেকে মাত্র ৫ কিমি দূরে এই গ্রামটি সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের পথে অবস্থিত। এখান থেকে সহজেই যাওয়া যায় টুমলিং, টোংলু, ধোত্রে–এর মতো জায়গায়। গুরদুমে বেশ কিছু হোমস্টে আছে, যারা স্থানীয় খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করে থাকে। শিলিগুড়ি থেকে সুখিয়াপোখরি হয়ে মানেভঞ্জন পৌঁছে সেখান থেকে সহজেই গুরদুম যাওয়া যায়।
এই চারটি জায়গা এখনো ট্যুরিস্টদের মূল ভিড়ের বাইরে রয়ে গেছে। তাই পুজোর সময় যদি একটু নিরিবিলি, কম খরচের এবং প্রকৃতির কাছে কিছু সময় কাটাতে চান, তাহলে এই অফবিট গন্তব্যগুলি আপনার তালিকায় অবশ্যই রাখতে পারেন। কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য, ঠান্ডা হাওয়া, স্থানীয় সংস্কৃতি আর শান্ত পরিবেশ, সব মিলিয়ে এক অন্যরকম পুজো কাটবে নিঃসন্দেহে।