Advertisement

Majhidhura Tourist Destination: দার্জিলিং নয়, উত্তরবঙ্গের ট্রেন্ডিং এখন পাইন-ঝর্না ঘেরা এই পাহাড়ি এলাকা

Majhidhura Tourist Destination: তিস্তার ধারে, সবুজ পাহাড়ে জড়ানো মাঝিধুরার সকাল যেন এক স্বপ্নময় দৃশ্য। ঘন কুয়াশা, পাইন গাছের সারি আর ঠান্ডা হাওয়ার পরশ, শরীর-মন জুড়িয়ে দেয়। এই পাহাড়ি গ্রামে সূর্যোদয় দেখলে মনে হবে যেন সুইজারল্যান্ডের লাউটারব্রুনেন ভ্যালিতেই পৌঁছে গিয়েছেন। যারা প্রকৃতির কোলে হারাতে চান, তাদের জন্য মাঝিধুরা স্বর্গের মতোই সুন্দর, যাকে কোনও কিছুর সঙ্গেই তুলনা করা যায় না।

দার্জিলিং নয়, উত্তরবঙ্গের ট্রেন্ডিং এখন পাইন-ঝর্না ঘেরা এই পাহাড়ি এলাকাদার্জিলিং নয়, উত্তরবঙ্গের ট্রেন্ডিং এখন পাইন-ঝর্না ঘেরা এই পাহাড়ি এলাকা
Aajtak Bangla
  • দার্জিলিং,
  • 31 Jul 2025,
  • अपडेटेड 4:26 PM IST

Majhidhura Tourist Destination: সাম্প্রতিক সময়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় দার্জিলিং অঞ্চলের “পহেলগাঁও” (Pahelgam) বলে একটি জায়গা দারুণ ভাইরাল হচ্ছে। কেউ কেউ আবার এটিকে সুইজারল্যান্ডের একটি জায়গার সঙ্গে তুলনা করছেন। তবে পহেলগাঁও হোক কিংবা সুইজারল্যান্ড এই জায়গাটি এমনিতেই দুর্দান্ত সুন্দর ও নির্জন। পাইন বন, জলের ঝরণা আর নিস্তব্ধতা নিয়ে খানিকটা ওই সব জায়গার মতো বললেও ভুল হবে না। এই জায়গাটির নাম মাঝিধুরা (Majhidhura), এটি ঘুম  আর সুখিয়াপোখরি এলাকার মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত।

তিস্তার ধারে, সবুজ পাহাড়ে জড়ানো মাঝিধুরার সকাল যেন এক স্বপ্নময় দৃশ্য। ঘন কুয়াশা, পাইন গাছের সারি আর ঠান্ডা হাওয়ার পরশ, শরীর-মন জুড়িয়ে দেয়। এই পাহাড়ি গ্রামে সূর্যোদয় দেখলে মনে হবে যেন সুইজারল্যান্ডের লাউটারব্রুনেন ভ্যালিতেই পৌঁছে গিয়েছেন। যারা প্রকৃতির কোলে হারাতে চান, তাদের জন্য মাঝিধুরা স্বর্গের মতোই সুন্দর, যাকে কোনও কিছুর সঙ্গেই তুলনা করা যায় না।

উত্তরবঙ্গের এই গ্রামেও রয়েছে এমন পাহাড়ি রাস্তায় ঘেরা ঠান্ডা বাতাসে মোড়া নিঃশব্দ প্রকৃতি। জলের স্রোতের ধারে বসে সময় কাটানো যায় সুইজারল্যান্ডে, খানিকটা তেমনই অভিজ্ঞতা মেলে তিস্তার তীরেও। শীতকালে তো এখানকার আবহাওয়া ও ভিউ আরও বেশি সুইজারল্যান্ড সুলভ হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন

কীভাবে যাবেন?
গাড়িতে শিলিগুড়ি, এনজেপি, বা মালবাজার স্টেশন থেকে যাওয়া যায়। তাছাড়া চালসা, লাটাগুড়ি হয়ে পৌঁছনো যায়। রাস্তা কখনও জঙ্গলের ভিতর, কখনও পাহাড় ঘেঁষে। মাঝে মাঝেই গাড়ি থামিয়ে প্রকৃতির ছবি তুলতে ইচ্ছে হবেই! স্থানীয়দের চালানো কয়েকটি ছোট হোমস্টে-তে মিলবে ঘরোয়া খাবার আর পাহাড়ি আতিথেয়তা।যারা ‘ভ্যানিশ পয়েন্ট’ খুঁজে বেড়ান, তাদের জন্য মাঝিধুরা এক অপূর্ব গন্তব্য।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য 
ঘুম থেকে মাত্র ১০–১৫ মিনিট দূরে অবস্থিত, যেখানে হিমালয়ের মৃদু রেখা ও সবুজ চা বাগানের মেলবন্ধন চোখে পড়ে। মায়াবী ঝর্ণা, কুয়াশায় ঢাকা পাহাড়েরা ভোর-বিকেলের আলোতে মন ছুঁয়ে যায়।

পর্যটকদের আকর্ষণ

ছবির মতো দৃশ্যপটের কারণে পর্যটক ও ফটোগ্রাফারেরা রাতে বা ভোরে এখানে ভিজিট করে দুর্ধর্ষ দৃশ্য ধরে রাখেন। ট্যুরিস্ট যারা সেলফি, থাম্বনেল বা ইনস্টাগ্রাম কনটেন্ট বানাতে চান, তাদের কাছে এটি আদর্শ “মিনি পহেলগাঁও বা লাউটারব্রুনেন।

Advertisement

ঘোরার সেরা সময় 
পাহাড়ের অন্যান্য জায়গার মতো বর্ষা এড়িয়ে সারা বছর যেতে পারেন। তবে মার্চ থেকে মে এবং সেপ্টেম্বর–নভেম্বর মাসে আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারবেন। শীতেও ঘোরা যায়। তবে কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারিদিক। তাই ভাল করে দেখা যায় না। এটা এখনও ভার্জিন। তাই সুযোগ-সুবিধা বা থাকার দারুণ বন্দোবস্ত নেই। তাই খাবার দাবার সঙ্গে নিয়ে যাওয়াই ভাল।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement