Darjeeling Tourist Spots: জুনের প্রথম সপ্তাহে দার্জিলিং ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে বড় খবর রয়েছে আপনাদের জন্য। প্রথম সপ্তাহে একটা গোটা দিন দার্জিলিংয়ের বেশ কিছু জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চরম বেকায়দায় পড়েছেন ট্যুর অপারেটররা। তাঁরা এখন পর্যটকদের সফরসূচি অদলবদল করার চেষ্টা করছেন। কারণ একদিন বন্ধ থাকলেও ওই দিনটিকে ধরে অনেকেই ৪-৫ দিনের প্যাকেজ বুক করেন। ফলে ওই দিন ৫ টি কেন্দ্রের বাইরে কোথাও বুকিং দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাঁরা এককভাবে নিজেরা আসবেন, তাঁদের জন্য সমস্য়া বেশি। তাঁরা ওইদিন বাদ দিয়ে এই জায়গাগুলিতে আসুন।
কবে বন্ধ থাকবে পর্যটনকেন্দ্রগুলি?
আগামী ৪ জুন ভোটগণনার দিন দার্জিলিংয়ে বন্ধ থাকবে পাঁচটি পর্যটন কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল। এদিকে, ভোটগণনা সুষ্ঠুমতো করতে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন। আজ, শুক্রবার তারা এ ব্যাপারে প্রার্থীদের নিয়েও বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে।
কোন কোন জায়গা বন্ধ থাকবে?
এখন দার্জিলিং পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছে। ৪ জুন ভোটগণনার দিনও পাহাড়ে প্রচুর বুকিং রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ওইদিন পাঁচটি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে পদ্মজা নাইডু জুওলজিক্যাল পার্ক, টাইগার হিল, রঙ্গিতভ্যালি রোপওয়ে, বাতাসিয়া লুপ ও হিমালয়ান মাউন্টেয়ারিং ইনস্টিটিউট।
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের ভোট শিলিগুড়ি, কালিম্পং ও দার্জিলিং এই তিনটি জায়গায় গণনা হবে। যার মধ্যে দার্জিলিংয়ে গভর্নমেন্ট কলেজে দার্জিলিং ও কার্শিয়াং বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট সহ ৭ টি কেন্দ্রের পোস্টাল, সার্ভিস ভোট গণনা করা হবে। সকাল ৬টায় খোলা হবে স্ট্রংরুম। সকাল ৮টায় গণনা শুরু হবে। সকাল ৭টার মধ্যে কেন্দ্রে গণনা কর্মী, পুলিশ কর্মী, রাজনৈতিক দলগুলির কাউন্টিং এজেন্টদের পৌঁছতে হবে। পুলিশ ও গণনাকর্মীর সংখ্যাই প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। এর বাইরে রাজনৈতিক দলের এজেন্ট রয়েছে। তাই ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে গণনা কেন্দ্রের কাছাকাছি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকছে।
তবে এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পর্যটন মহলে। ভরা মরশুম হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশ। যেহেতু টুরিস্ট বুকিং অনেক আগে থেকে হয়ে থাকে, তার জন্য প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্তে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হবে বলে অনেকের বক্তব্য। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, নির্বাচন এবং তার ফল ঘোষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু টাইগার হিলের মতো জায়গুলি খোলা রাখা যেত। প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্তের ফলে বিকল্প জায়গা নিয়ে ভাবতে হবে।
পর্যটনের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করছেন অনেক পর্যটন ব্যবসায়ী। ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেলস অ্যান্ড টুর অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস মৈত্রও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে জানিয়েছেন। অন্যথায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের চরম সমস্যায় পড়তে হবে। গণনা কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা বা কাছেপিঠে যে পর্যটন কেন্দ্রগুলি রয়েছে, শুধুমাত্র সেগুলি বন্ধ রাখা হলে ভালো হত। প্রশ্ন উঠছেন, সিকিম বিধানসভার ফল ঘোষণা ২ জুন। কিন্তু সিকিমের তরফে এখনও এমন কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। অনেকের প্রশ্ন, সিকিম যদি পর্যটনকে ছাড় দিতে পারে, তবে দার্জিলিং কেন পারবে না?