
Siliguri-Mirik Bus Service Resume: দুধিয়া সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে টানা ২০ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে পুনরায় চালু হলো শিলিগুড়ি-মিরিক রুটে যান চলাচল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মাত্র ১৬ দিনের মধ্যেই নির্মিত হয়েছে আস্থায়ী সেতু, যার উপর দিয়ে গত ২৭ অক্টোবর থেকে ছোট গাড়ি চলাচল শুরু হয়। আর আজ, দীর্ঘ ২৪ দিন পর উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (NBSTC) সেই সেতুর উপর দিয়ে পুনরায় বাস চলাচল শুরু করল।
যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রতিদিন তিনটি বাস মোট ছয়টি ট্রিপে পরিষেবা দেবে বলে জানিয়েছে নিগম কর্তৃপক্ষ। আজ সকালে দুধিয়া সেতুতে উপস্থিত ছিলেন NBSTC-এর ডিভিশনাল ম্যানেজার ও অন্যান্য আধিকারিকরা। তাঁরা চালক, পরিচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। সকলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত উদ্যোগে এই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
৪৬৮ মিটার দীর্ঘ এই আস্থায়ী সেতুতে রয়েছে ৭২ মিটার হিউম পাইপ কজওয়ে, যার প্রস্থ ৮ মিটার। ১২০০ মিলিমিটার ব্যাসের মোট ১৩২টি হিউম পাইপ ব্যবহার করে মাত্র ১৬ দিনেই সম্পূর্ণ হয় নির্মাণকাজ। এদিকে, ১৯৬৫ সালে নির্মিত পুরনো দুধিয়া সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ৫৪ কোটি টাকায় নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
৩ সপ্তাহ আগে দুর্যোগের কবলে পড়ে গোটা উত্তরবঙ্গ। ধস নেমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দার্জিলিং জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কেও যান চলাচল ব্যাহত হয়। ধস নেমে জায়গায় জায়গায় রাস্তা ভাঙে। জলমগ্ন হয়ে পড়ে একাধিক রাস্তা। দার্জিলিংগামী দিলারামের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। পুজোর পর দার্জিলিং, কার্শিয়ং বেড়াতে গিয়ে কার্যত ফেঁসে যান বহু পর্যটক। ভেঙে পড়ে দুধিয়ার পুরনো সেতু। ট্যুরিস্ট হটস্পট হিসেবে পরিচিত মিরিক, কার্শিয়ঙের মতো এলাকাগুলি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত রকম পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। গাড়ি চলা ৩ দিন আগে শুরু হলেও বাস না থাকায় কম খরচে যাতায়াতের সুযোগ মিলছিল না।