Summer Snow Area Of India: ভারতের ভৌগোলিক বৈচিত্র্যের কারণে এখানে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত, মে মাসে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল গ্রীষ্মপ্রধান থাকলেও, উত্তর ভারতের উচ্চভূমি এবং পর্বতাঞ্চলে এখনও কিছু কিছু স্থানে বরফ পড়ে বা বরফ থাকার সম্ভাবনা থাকে। মূলত হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর (বর্তমানে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল: জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ), এবং উত্তরাখণ্ডের কিছু উচ্চপাহাড়ি অঞ্চলেই মে মাসে বরফ দেখা যায়। লাদাখ ও কারগিল অঞ্চল: লাদাখে মে মাসেও অনেক জায়গায় বরফাবৃত অবস্থা বিরাজ করে। বিশেষত প্যাংগং লেক, খারদুং লা, ও চাং লা পাসে মে মাসে তুষারপাত হবার সম্ভাবনা থাকে।
গুলমার্গ, সোনমার্গ ও পাহেলগাম (কাশ্মীর): এগুলো জম্মু ও কাশ্মীরের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। মে মাসে এখানে সরাসরি বরফ না পড়লেও, বরফাবৃত পর্বতশিখর এবং কিছু বরফ জমে থাকা এলাকা দেখা যায়। সোনমার্গে মাঝে মাঝে মে মাসেও তুষারপাত হয়। হিমাচল প্রদেশ: স্পীতি ভ্যালি, রোহতাং পাস, ও কুনজুম লা-তে মে মাসে মাঝে মাঝে হালকা তুষারপাত হয়। রোহতাং পাস মে মাসের শেষের দিকে খুলে যায় এবং তখনও বরফের উপস্থিতি থাকে।
উত্তরাখণ্ড: বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, এবং হেমকুণ্ড সাহিব-এর মতো উচ্চ এলাকা মে মাসে বরফে ঢাকা থাকতে পারে।
সারসংক্ষেপে, মে মাসে ভারতের বেশিরভাগ এলাকায় বরফ দেখা না গেলেও, হিমালয়ের উচ্চতর অঞ্চলগুলোতে এখনো তুষারপাত বা বরফের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, যা পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।
জুন মাসে ভারতে সাধারণত গ্রীষ্মকাল চলতে থাকে, তবে কিছু উচ্চ পাহাড়ি ও হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে তখনও খুব ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে। নিচে এমন কিছু স্থানের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে জুন মাসে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে:
জুন মাসে ভারতের ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সম্ভাব্য স্থানসমূহ:
লাদাখ (Ladakh), জম্মু ও কাশ্মীর
বিশেষত রাতের বেলায় তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
জনপ্রিয় এলাকা: লেহ, খারদুং লা, প্যাংগং লেক।
স্পীতি ভ্যালি (Spiti Valley), হিমাচল প্রদেশ
উচ্চতার কারণে এখানকার আবহাওয়া জুন মাসেও অত্যন্ত ঠান্ডা থাকে।
রাতের তাপমাত্রা ০-৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে।
রোহতাং পাস (Rohtang Pass), হিমাচল প্রদেশ
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।
জুনে তুষারাবৃত থাকায় তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি হতে পারে।
কুনজুম পাস (Kunzum Pass), হিমাচল প্রদেশ
স্পীতি ও লাহৌল ভ্যালিকে সংযুক্ত করে।
জুন মাসে বরফ ও ঠান্ডা হাওয়ার কারণে তাপমাত্রা কমে যায়।
হেমকুণ্ড সাহিব (Hemkund Sahib), উত্তরাখণ্ড
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫,২০০ ফুট উচ্চতায়।
জুন মাসেই তীর্থযাত্রার দরজা খুলে, তবে আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা থাকে।
নুব্রা ভ্যালি (Nubra Valley), লাদাখ
দিনে রোদ থাকলেও রাতে তাপমাত্রা খুব কমে যেতে পারে।
এই সব অঞ্চলেই উচ্চতা বেশি এবং তুষারপাতের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায়, জুন মাসে ওখানে শীতল তাপমাত্রা বজায় থাকে। যদি আপনি ঠান্ডা পরিবেশ খোঁজেন, তাহলে এই এলাকাগুলো ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত।