Advertisement

Royal Bengal Tiger: দেশের এই জঙ্গলগুলিতে বাঘ দেখা গ্যারান্টি, রয়েছে রাজ্যের একটি অরণ্যও

Royal Bengal Tiger: দেশের কিছু জঙ্গল রয়েছে, যেগুলি বাঘের জন্য বিখ্যাত শুধু নয়। এগুলিতে গেলে বলা হয় বাঘ দেখা গ্যারান্টি। মানে আপনি গিয়ে বাঘ দেখতে না পাওয়াটাই সেই অরণ্যগুলিতে মিরাকল ব্যাপার। এই জঙ্গলগুলিতে বাঘ ঠিক খাঁচায় থাকে না। বরং গাড়িতে করে ঘুরেই বাঘ দেখতে হয়।

দেশের এই জঙ্গলগুলিতে বাঘ দেখা গ্যারান্টি, রয়েছে রাজ্যের একটি অরণ্যও
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 29 Jan 2024,
  • अपडेटेड 7:00 PM IST

Royal Bengal Tiger: অনেকেই জঙ্গলে ঘুরতে যান শুধু বাঘ দেখার জন্য। তাই বাঘবনেই ডেরা বাঁধেন কিছুদিনের জন্য। তবে বাঘ তো আর পোষা বান্দা নয়, যে চাইলেই দেখা দেবে, তাই এ রাজ্যে একাধিক বাঘের ডেরা বা ব্যাঘ্র প্রকল্প থাকলেও ঘুরতে গিয়ে বাঘের দেখা কমই মেলে। তা সে বক্সা বাঘবনই হোক কিংবা সুন্দরবন। কপালে থাকলে দেখতে পাবেন, না হলে পাবেন না। সোজা হিসেব।

কিন্তু দেশের কিছু জঙ্গল রয়েছে, যেগুলি বাঘের জন্য বিখ্যাত শুধু নয়। এগুলিতে গেলে বলা হয় বাঘ দেখা গ্যারান্টি। মানে আপনি গিয়ে বাঘ দেখতে না পাওয়াটাই সেই অরণ্যগুলিতে মিরাকল ব্যাপার। এই জঙ্গলগুলিতে বাঘ ঠিক খাঁচায় থাকে না। বরং গাড়িতে করে ঘুরেই বাঘ দেখতে হয়। বাঘও নিজের খেয়ালে ঘুরে বেড়ায় জঙ্গলে। দেশের এই সমস্ত অভয়ারণ্যে শুধু বাঘই নয়, নানা প্রজাতির উদ্ভিদ, পাখি এবং অন্যান্য নানা প্রজাতির পশুরও দেখা পাবেন। তার মধ্যে একটি রয়েছে আমাদের রাজ্যেই। আসুন জেনে নিই কোন সে জায়গাগুলি। 

​পেঞ্চ জাতীয় উদ্যান

মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ জাতীয় উদ্যান অবস্থান করছে প্রায় একশো বর্গমাইল এলাকাজুড়ে। পেঞ্চ ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প এই অরণ্যেরই অন্তর্ভূক্ত। অরণ্যের নামকরণ হয়েছে পেঞ্চ নদী থেকে। নদীটি বয়ে গেছে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে। ১৯৬৫ সালে এটিকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়, ১৯৭৫ সালে এটি উন্নিত হয় জাতীয় উদ্যান। এবং ১৯৯২ সালে একে বাঘ সংরক্ষণাগার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। পেঞ্চ অরণ্যে বাঘেরা নিশ্চিন্ত মনে ইতিউতি ঘুরে বেড়ায়। তাই সেখানে গেলে বাঘের দেখা পাবেনই পাবেন। জঙ্গল সাফারির সময় মনে হতে পারে যে পর্যটকরা বাঘকে নয় বাঘেরা যেন তাঁদের পরিদর্শন করছে।

​নাগরহোল জাতীয় উদ্যান

কর্ণাটকের পশ্চিম প্রান্তের মহীশূর এবং কডাগু জেলার সীমান্তে পশ্চিমঘাট পর্বতের নীচে অবস্থিত নাগরহোল জাতীয় উদ্যান। নাগরহোল শব্দের অর্থ স্বর্পীল নদী। আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঘ্র সংরক্ষণকেন্দ্র এটি। বাঘ ছাড়াও এখানে হাতি সংরক্ষণও করা হয়। এখানে অনেক বাঘের বাস। তাই কর্ণাটকে গিয়ে বাংলার বাঘ দেখার ইচ্ছে হলে নাগরহোল জাতীয় উদ্যানটি মিস করবেন না যেন। বাঘ ছাড়া এখানে বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, হাতি, বন্য ময়ূর, বিষাক্ত সাপ, নানা ধরনের পাখি, সোনালি লেপার্ড, বাঁদর, ভাল্লুক, ঘরিয়াল ইত্যাদি দেখতে পাওয়া যায়।

Advertisement

​রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান

দক্ষিণ-পূর্ব রাজস্থানে সওয়াই মাধোপুর জেলায় বিন্ধ্য এবং আরাবল্লী পাহাড়ে ঘেরা ৩৯২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান। উত্তর ভারতের বৃহত্তম জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। অতীতে রণথম্ভোর ছিল জয়পুরের মহারাজাদের শিকারভূমি। ১৯৮০ সালে জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি পায় এই অরণ্য। দেশের সবচতেয়ে বেশি সংখ্যক বাঘ রয়েছে এই অরণ্যেই। তাই এখানে গেলে বাঘের দেখা পাবেনই। তবে মূলত শীতকালেই বাঘেরা দেখা দেয়। সেই সময় অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের মতো সূর্যের আলো গায়ে মেখে অবাধে বিচরণ করে বাঘেরা।

তাডোবা জাতীয় উদ্যান

মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো জাতীয় উদ্যান এই তাডোবা। জঙ্গলে রয়েছে প্রচুর প্রজাতির পশু এবং পাখি। রয়েছে বাঘও। এই অরণ্যকে দেশের 'বাঘের রাজধানী' বলা হয়। দেশের বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে এটি অন্যতম। জঙ্গলের অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ করবে সকলকে। আমাদের দেশের অনেক জঙ্গলই বর্ষাকালে বন্ধ থাকে। যদিও তাডোবার ক্ষেত্রে তা হয় না। বর্ষায় হেঁটে জঙ্গলে ঘুরতে দারুণ লাগে। এই সময় জঙ্গলের পরিবেশ থাকে অতি মনোরম। তুলনায় গ্রীষ্মে জঙ্গল সফর খানিকটা অস্বস্তিকর। জঙ্গলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বাঁশ গাছ। বাঁশ বনের কাছে ভুড়ো শিয়ালির নাচ দেখতে পাবেন কিনা জানা নেই তবে সেখানে পায়ে পায়ে হাঁটতে ভালোই লাগবে। তবে জঙ্গলে জিপ সাফারির ব্যবস্থা রয়েছে।

​বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান, মধ্যপ্রদেশ

বাঘের দেখা পেতে গেলে বান্ধবগড় সেরা ঠিকানা। দেশের মধ্যে এই অভয়ারণ্যটিতেই সবচেয়ে বেশি বাঘ পাওয়া যায়। মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া জেলার বিন্ধ্য পর্বতের গাছে থাকা এই অভয়ারণ্যে গেলে বাঘের দেখা পাবেনই। এখানে বাঘের সংখ্যা এতটাই বেশি যে সংলগ্ন খনি অঞ্চলে স্থানীয়রা কাজ করতে যেতেও ভয় পান। বাঘের পাশাপাশি এখানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লেপার্ড, ভারতীয় বাইসন, বুনো শূকর, চিতল, চিঙ্কারা, সম্বর ও বার্কিং ডিয়ার সহ নানা প্রজাতির হরিণ। দেখতে পাবেন শেয়াল, ডোরাকাটা হায়না, নীলগাই, গৌড় আর হরেক রকমের পাখি।

বেঙ্গল সাফারি পার্ক

এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে বেঙ্গল সাফারি পার্ক চালু হয়েছে কিছু বছর আগে। বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের প্রায় ৮০০ হেক্টর এলাকাকে ঘিরে তাতে জংলি জানোয়ারদের খোলা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেগুলিকে বাসে চড়ে ঘুরিয়ে দেখানো হয়। গণ্ডার., ভাল্লুক, চিতা, হাতির মতো প্রাণীর সঙ্গে রয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও। ফলে এখানে এলেও আপনি গাড়িতে করে ঘুরে বাঘ দেখতে পাবেন। তবে খুব কপাল খারাপ থাকলে ঝোপে ঝাড়ের আড়ালে বসে থাকলে কিছু করার নেই। তবে এখনও পর্যন্ত ঘুরে এক ঝলক বাঘের দেখা পাননি কেউ এমনটা হয়নি।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement