Dooars Puja Vacation Tour: জানুয়ারি থেকে এপ্রিল জঙ্গলে ঘোরার সেরা সময়। পড়ন্ত শীতে অথবা বসন্তে ঝিমিয়ে পড়া জঙ্গলে ঝরাপাতা মাড়িয়ে ভ্রমণের আলাদা আনন্দ। আর জঙ্গল মানেই ডুয়ার্স। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ডুয়ার্স ভ্রমণ আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চাইছে বন দফতর। গরুমারায় মূর্তি নদীর ধারে সময় কাটানো, জঙ্গল সাফারির সঙ্গে জুড়ছে নতুন বন্দোবস্ত।
গরুমারা জঙ্গলের ভিতরে তৈরি হয়েছে সেলফি জোন। যেখানে হাতির সঙ্গে সেলফি তুলতে পারছেন পর্যটকরা। ধূপঝোরায় এই সেলফি জোন তৈরি হয়েছে। সেখানে হাতিদের সঙ্গে ছবি তোলা যাবে। কিন্তু হাতিদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় কোনওভাবেই হাতিদের বিরক্ত করা যাবে না। এই ছবি তোলার সময় কোনওভাবেই হাতিদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না।
খরচ সামান্য
মাত্র ২০ টাকায় হাতিদের সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ করে দিচ্ছে জলপাইগুড়ির গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ। জলপাইগুড়ির ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের পিলখানায় কুনকি হাতিদের সঙ্গে পর্যটকদের সেলফি তোলার এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এলফি’। বন্যপ্রাণ বিভাগের জেনি, হিলারি, মাধুরী, ডায়নার মতো কুনকি হাতিদের সঙ্গে সময় কাটানোর ফাঁকে মোবাইলে সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। চলতি শীতের মরশুমেই ধূপঝোরার এই সেলফি জোনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যম্পে কুনকি হাতিদের নদীতে স্নান করানোর সময় পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি ছিল। একসময় হাতিকে স্নান করাতেও পারতেন পর্যটকরা। কিন্তু সেসব এখন বন্ধ রয়েছে। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল হাতিকে স্নান করানো। তা বন্ধ থাকায় পর্যটকদের কথা ভেবে এবার এলফি জোনের ব্যবস্থা করেছে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ।
পিলখানার কাছে হাতিদের থেকে কিছুটা দূরত্বে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড, যাতে বাঁধা থাকা কুনকির সামনে কোনও পর্যটক যেতে না পারেন। এই ব্যারিকেডের মুখেই বেশ কয়েকটি সেলফি জোন। এলিফ্যান্ট ও সেলফি শব্দ দুটিকে মিলিয়ে এই জায়গার নামকরণ করা হয়েছে ‘এলফি জোন’।
আপাতত পিলখানার সামনে ব্যারিকেড ও এলফি জোন তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেছে বন্যপ্রাণ বিভাগ। সকালের একটা নির্দিষ্ট সময় নাকি দুপুরের দিকে এলফি জোনে যাওয়ার অনুমতি মিলবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একসঙ্গে কতজন পর্যটক এলফি জোনে যেতে পারবেন, তাও খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেবে বন দপ্তর।
অনলাইনে বা অফলাইনে এই টিকিটের ব্যবস্থা থাকছে। পর্যটকরা প্রয়োজনে এই টিকিট বুক করতে পারেন। তবে এই প্যাকেজের মধ্য়ে আরও একাধিক ব্যবস্থা থাকবে। তার মধ্য়ে অন্য়তম হল ধূপঝোড়ার মূর্তি নদীতে হাতির স্নানও দেখতে পারবেন পর্যটকরা। এরপর সন্ধ্যায় আদিবাসী নৃত্য়ও দেখতে পারবেন পর্যটকরা। এবারের পুজোতে সেই একাধিক সুবিধা পাবেন পর্যটকরা।