'বালুচরী' নামের মধ্যেই রয়েছে আভিজাত্য। প্রতিটি শাড়ি যেন কথা বলে। কোথাও ফুটে উঠেছে টেরাকোটার কারুকার্য আবার কোনওটাতে মহাভারতের গল্প। বাঙালির শাড়ির সম্ভারে বছরের পর বছর ধরে স্বমহিমায় বিরাজমান বালুচরী। বালুচরীর ইতিহাস বলতে, এটি শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ সংলগ্ন বালুচর নামক কোনও এক এলাকায়। সেই বালুচর নাম থেকেই এসেছে বালুচরী। শিল্পীদের কাছে বালুচরীর বয়ন এক সাধনার মতো। এক সময় এর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল বিদেশেও। এরপর কালের নিয়মে হারিয়ে যায় এই শাড়ি। মাঝে পেরিয়ে যায় অনেকটা সময়। তাবে পরে আবার বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের পৃষ্টপোষকতায় বালুচরী শিল্পের নবজাগরণ ঘটে। ইতিমধ্যেই মল্লগড়ের এই বালুচরী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়িয়ে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছে। চাহিদাও আছে বর্তমান বাজারে। এই নবাবী শাড়ির ব্যাপ্তি যাতে আরও সুদীর্ঘ হয় এই আশায় বুক বাঁধছেন শিল্পীরা।