সাধারণ ভাবে ডার্বি জিতে গেলে পরের ম্যাচে আত্মতুষ্টি দেখা যায় দলে। তবে এই ইস্টবেঙ্গল সে সব কিছুর ধার ধারে না। ডার্বি জয়ের পরেও এগিয়ে চলল বিনো জর্জের ছেলেরা। বেহালা সাংস্কৃতিক সম্মেলনী কে ৬-০ গোলে হারাল লাল-হলুদ। যাকে বলে একেবারে গোলের মালা। প্রথম ম্যাচে মেজারার্সের বিরুদ্ধে ৭-১ গোলে জয়ের পর আবার একটা বড় জয়। আসলে মোহনবাগানকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে তরুণ ফুটবলারদের।
ডার্বির পর দলে অনেক বদল করতে হয়েছে। গোলকিপার আদিত্য পাত্র দলে ছিলেন না। রক্ষণে মাতন্ড রায়না ছিলেন না। তবে ডেভিড লালরামসাঙ্গা ছিলেন। গোলও করেছেন। ১৮ মিনিটে তন্ময়ের অসাধারণ কর্নার থেকে চাকু মাণ্ডির গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ। ৩০ মিনিটে ডেভিডের গোলে ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। এর ঠিক ৩ মিনিট পর ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন মহম্মদ আশিক। ৩-০ গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৩ গোল। এই ম্যাচ হারলে সুপার সিক্স থেকে দল ছিটকে যেতে পারে জেনেও, যেন গা ছাড়া ভাব আরও চেপে বসল বিএসএস-এর। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের কার্যত কোনও জবাব ছিল না বেহালা এসএস-এর কাছে। ৭২ থেকে ৭৫ মিনিটের একটা স্পেলে আরও তিনটি গোল করে লাল-হলুদ। গোলগুলি করেন যথাক্রমে নাসিব রহমান (৭১ মি.), মার্ক জোথানপুইয়া (৭৪ মি.) এবং গুইতে ভানলালপেকা (৭৫ মি.)। শেষমেশ বেহালা এসএস’কে ৬ গোলে হারিয়ে কলকাতা লিগে জয়যাত্রা অব্যাহত রাখল ইস্টবেঙ্গল।
দুটো মাত্র ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে আবার একটা ডার্বি। সেই ম্যাচে তো বটেই, আরও একটা ম্যাচে আরেকটা গোল। তার সঙ্গে আবার একটা অ্যাসিস্ট। কলকাতা লিগ থেকেই প্রচারের আলোয় এসেছিলেন ডেভিড। সেখান থেকে আই লিগে দুরন্ত পারফরম্যান্স মহমেডান স্পোর্টিং-এর জার্সিতে। সাদা-কালো শিবির আইএসএল-এ উঠে গেলেও, তিনি চলে আসেন ইস্টবেঙ্গলে। ফের কলকাতা লিগ আসতেই জ্বলে উঠছেন ডেভিড।