007। নম্বরটা দেখে কার কথা মনে পড়ছে? জেমস বন্ড তো? আচ্ছা আমি যদি আপনাকে বলি, যে এটি একটি বাস রুটের নম্বর। তাও আবার কলকাতার বাস রুট। আপনি কি আমার কথা বিশ্বাস করবেন? না না, মজা করছি না। সত্যিই বলছি। ০০৭ নম্বর রুটের বাস চলে আমাদেরই শহরের রাজপথেই। তাও আবার ১৫-২০ মিনিট অন্তর। ২০০৯ সালে কোর্টের নির্দেশ জারি হওয়ার পর একাধিক বাসকে স্ক্র্যাপ করে দেওয়া হয়। পুরনো কাঠের বাস বা টিনের বাসের জায়গায় চাহিদা বাড়তে থাকে বিলাসবহুল লো ফ্লোর এসি এবং নন এসি বাসের।
ভারত সরকার ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশন (জেএনএনইউআরএম) চালু করে। আর সেই প্রকল্পের জেরে বাংলাও সুযোগ করে নিয়েছিল অত্যাধুনিক বাস কেনার। লো ফ্লোর ভলভো বাস সার্ভিসের সঙ্গে আসে সেমি লো ফ্লোর বাস (টাটা এবং অশোক লেলান্ড কোম্পানির)। একটি নতুন বেসরকারি রুটের তালিকা তৈরি হয়। যার নাম রাখা হয়েছিল JM series। রুট ও গড়ে উঠেছিল ৯-১০ টা। একদম JM-1 থেকে JM-9 অবধি।
এই JM সিরিজের অন্যান্য রুট তাদের নিজস্ব রুট নম্বর JM-1, JM-2 এভাবে লিখলেও, JM-7 রুটের বাসগুলি তাদের নিজেদের রুট বোর্ডে লিখে আসছে oo7। তবে JNNURM ফেজ 1 এর অধিকাংশ বাসের ত্রুটি থাকায়, একের পর এক JM সিরিজের বাস রুট বন্ধ হয়ে যায়। কলকাতা বাসও পিডিয়ার অন্যতম সদস্য অভিনব পাল জানান, এখন JM সিরিজের মধ্যে মাত্র 007 রুটটি জীবিত আছে। তবে বাসগুলোর বয়স আর মাত্র ২ বছর বাকি। তারপর কলকাতা হারিয়ে ফেলবে তাদের নিজস্ব জেমস বন্ডকে। তাও একেবারে চিরকালের মতো।
JM সিরিজের বাস রুটগুলি খুব সুন্দর ভাবনা চিন্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল। কলকাতার সঙ্গে হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার যোগাযোগ আরও বাড়ার কারণে, সাধারণ মানুষও বেছে নিয়েছিল এই বাসগুলিকে তাঁদের নিত্য যাত্রার সঙ্গী হিসেবে। কিন্তু আজ অধিকাংশ jm সিরিজের বাসই বহু বছর হল বন্ধ। এর ফলে অসুবিধার সম্মুখীনও হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সমস্ত jm সিরিজের বাস রুটের তালিকা: