Advertisement

Suvendu Adhikari: অমিত শাহ ফোন করেছেন, হিংসা নিয়ে চিন্তিত, ফল নিয়ে নয় : শুভেন্দু

Suvendu Adhikari on Panchayat Election: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুভেন্দু বলেন, 'মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ আমার সঙ্গে সারাদিন কথা হয়েছে। উনি ফোন করেছেন, আমিও করেছি। দিল্লির কেউ এখানকার ফল নিয়ে আগ্রহী নন। প্রত্যেকে জানে, এটি ভোটই হয়নি। গোটা ভারতবর্ষের কাছে বিকৃত হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সঙ্গীরা। এই সরকার চিরদিন থাকবে না।'

Suvendu
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 11 Jul 2023,
  • अपडेटेड 7:12 PM IST
  • মঙ্গলবার শুভেন্দু বলেন, 'মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ আমার সঙ্গে সারাদিন কথা হয়েছে। উনি ফোন করেছেন, আমিও করেছি।'
  • প্রশাসনের সঙ্গে মানুষের লড়াই হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, 'এক্সটেনশন পাওয়া মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং ডিজি মনোজ মালব্যের নেতৃত্বে এগুলি চলছে।'
  • তিনি আরও বলেন, 'আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করি, আমি মাটির গন্ধ জানি। এটাই আসল প্রতিফলন হত।'

Suvendu Adhikari on Panchayat Election: বাংলায় ভোট ঠিক করে হয়নি। তাই দিল্লির কেউ ভোটের ফলাফল নিয়ে আগ্রহী নন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানালেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
 
মঙ্গলবার শুভেন্দু বলেন, 'মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ আমার সঙ্গে সারাদিন কথা হয়েছে। উনি ফোন করেছেন, আমিও করেছি। দিল্লির কেউ এখানকার ফল নিয়ে আগ্রহী নন। প্রত্যেকে জানে, এটি ভোটই হয়নি। গোটা ভারতবর্ষের কাছে বিকৃত হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সঙ্গীরা। এই সরকার চিরদিন থাকবে না।' এরপর আগের সরকারের সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি বলেন, 'সিপিএমও ভাবত আমরা চিরকাল থাকব। সিদ্ধার্তশঙ্কর রায়ও ভাবত আমি এবং ইন্দিরা গান্ধী ছাড়া কেউ নেই। চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়, পৃথিবীটা গোল।'

ভোট গণনায় অনিয়মেরও অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন 'নদীয়ার শান্তিপুরে করার চেষ্টা করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে। তৃণমূল যেখানে জিতেছে সেখানে ব্যালটের পিছনেও প্রিসাইডিংয়ের সই ছাড়াই তাতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি যেথানে দুই-তিন ভোটে জিতেছে, সেখানে নিয়ম মানতে হবে। আমি এটা সমর্থন করছি না। কিন্তু একযাত্রায় তো পৃথক ফল হতে পারে না।'

প্রশাসনের সঙ্গে মানুষের লড়াই হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, 'এক্সটেনশন পাওয়া মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং ডিজি মনোজ মালব্যের নেতৃত্বে এগুলি চলছে। এরা কত শক্তির সঙ্গে লড়বে? স্থানীয় MLA এবং তৃণমূলের জল্লাদ ওসি, আইসি, বিডিও। তাই সঙ্গে আমলারা। এতজনের সঙ্গে মানুষ কীভাবে লড়বে।'

এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ হানেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'এই যে চরম খিদে মমতা ব্যানার্জীর। ওনার সব চাই। হাঙরদের সব চাই। এই নির্বাচন কার্যত ফলাফল নিয়ে কোনও বিশ্লেষণে যাব না। আপনারা টিভিতে কেন বিশ্লেষণে যাচ্ছেন জানি না। জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন এটি নয়। তৃণমূল ২০১৮ সালেও এভাবে উল্লাস করেছিল। তারপর ২০১৯-এ ধপ করে পড়েছে। স্থানীয় স্তরে, কিছু গ্রাম, কিছু জেলায় তারা লড়াই করে নিজেদের জায়গাটা রক্ষা করতে পেরেছে। কেউ তো ভালবেসে বিরোধী দলকে জিতিয়ে দেয়নি।'

'বিজেপি ৩০ হাজার আসন পেত'
শুভেন্দুর মতে, সঠিকভাবে নির্বাচন হলে ফল অনেকটাই অন্যরকম হত। তিনি বলেন, 'এবারের ত্রিস্তর নির্বাচনে ৭৩ হাজার আসনের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি আসন কোনও মতেই তৃণমূল পেত না। বাকি ৫৩ হাজার যে বিজেপি পেত, এমনটাও বলব না। ৩০-৩২ হাজার সিট বিজেপি পেত। বাম কংগ্রেস আইএসএফ নির্দল, বিক্ষুব্ধ তৃণমূল মিলে আরও ১৫-১৮ হাজার সিট এই নির্বাচনে পেত। এই নির্বাচনে স্পষ্টভাবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া এই জেলা পরিষদগুলি বিজেপির পক্ষে যেত।'

Advertisement

তিনি আরও বলেন, 'আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করি, আমি মাটির গন্ধ জানি। এটাই আসল প্রতিফলন হত। পরবর্তীকালে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল থাকার সুবাদে অনেক পঞ্চায়ের মেম্বার ওদের দিকে চলে যেত। পুলিশ, বিডিও চাপ দিত।'

এবারে নন্দীগ্রামে একাধিক পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর বুথে বিজেপি জয় পেয়েছে। তৃণমূলের রেবা সামুই মাইতিকে ৮৩ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আসনেই দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তারও আগে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামে ১ নম্বর ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতই ছিল তৃণমূলের দখলে। ১ নম্বর ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩টি(ভেকুটিয়া, হরিপুর ও নন্দীগ্রাম) বিজেপির দখলে।  

পাঁচ বছর আগে ২ নম্বর ব্লকের ৭টি পঞ্চায়েত ছিল তৃণমূলের দখলে। এবার সেখানকার বয়াল ১, ২ এবং খোদামবাড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে এসেছে। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement