পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাতে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোটে যে ফলাফল এসেছে সেগুলোর ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে হাইকোর্টের রায়ের উপর। জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক জন পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে মামলা করেছিলেন। তারই শুনানিতে একথা জানান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ জুলাই।
প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, তাঁরা কমিশনের ভুমিা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এত হিংসার ঘটনা কীভাবে ঘটল ? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আদালত বুঝতেই পারছে না, কমিশন সতর্ক থাকার এত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও কীভাবে এত অশান্তি-হিংসার ঘটনা ঘটল।
মামলার আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আদালতকে বলেন, 'নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, কে কোথায় গুলি করবে তার দায়িত্ব নেওয়া যায় না। এটা নির্বাচন কমিশনারের মনোভাব হতে পারে?' এছাড়াও ভাঙড়ে যে অশান্তি হয়েচছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। তিনি আদালতকে জানান, ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়ে গেছে। সেজন্য ভাঙড়ে এক রাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ডায়মন্ডহারবার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ-সহ নানা জায়গার হিংসার ঘটনার কথা উল্লেখ করেন প্রিয়াঙ্কা।
এসব শুনেই আদালত জানায়,'পুলিশ নাগরিকের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হল কিছু ক্ষেত্রে। রাজ্য যদি তার নাগরিককে নিরাপত্তা না দিতে পারে তাহলে তা খুব উদ্বেগের। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে কমিশন হলফনামা দিয়ে জানাক। এরপর কোর্ট বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবে।'
মহামান্য আদালত আরও জানায়, মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ জুলাই। সেদিন আদালত কমিশনকে একাধিক তথ্য জমা করতে বলেছে। আদালতের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ভোটে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আদালতের রায়ের উপরই। সেজন্য CCTV ফুটেজ, ব্যালট সহ যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে।