Panchayat Election 2023: ক্ষমতা থাকলে আগে মণিপুরে করে আসুক। তারপরে পশ্চিমবঙ্গে এসে কথা বলবেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এভাবেই তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের অন্তিম লগ্নে দলীয় সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দুকে চাঁচাছোলা ভাষায় প্লাটা আঘাত হানেন কুণাল।
শনিবার ভোটগ্রহণ চলাকালীন নন্দীগ্রামের নন্দনায়বাড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। সেই সময়ে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি জানান তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণে হিংসার প্রসঙ্গ টেনে এনে এই কথা বলেন শুভেন্দু।
সন্ধ্যায় সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে কুণাল ঘোষ বলেন, 'কারা বলছেন ৩৫৫, ৩৫৬? ক্ষমতা থাকলে মণিপুরটা আগে করে আসুন। গোটা রাজ্য জ্বলছে। মৃত্যুর মিছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে।' এরপর আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, '৩৫৫, ৩৫৬... মামারবাড়ি! ক্ষমতা থাকলে আগে মণিপুরে করে আসুক। তারপরে এসে পশ্চিমবঙ্গে কথা বলবে।'
রাজ্যে নির্বাচন সামগ্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, '৬১ হাজারের বেশি বুথ অভিযোগমুক্ত। ৭-৮টি বুথে বড় ঘটনা। বাকি সব পাড়ায়-পাড়ায় যেমন হয়। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু বুথে অশান্তি ছড়ানো হয়েছে। সেটি ছাড়া নির্বিঘ্নে উত্সবের মেজাজে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে।'
মৃতদের মধ্যেও বেশিরভাগ তৃণমূলেরই কর্মী, জানান তিনি। কুণাল বলেন, 'আমরা একজনের মৃত্যুও চাই না। কিন্তু অধিকাংশ যাঁরা মারা যাচ্ছেন তৃণমূলের। যদি ভোট ঘোষণার পর থেকে দেখেন, ২৭ জনের মধ্যে ১৭ জন তৃণমূলের। ৬০%-এর বেশি। যদি আজ সকাল থেকে দেখেন, সেই শতাংশের হার আরও বেশি। প্রায় ৭৮% । তৃণমূল কি সন্ত্রাস করলে তৃণমূলকে মারবে?'
কিন্তু তৃণমূলের মৃত্যু কি গোষ্ঠীদ্বন্দেরই ইঙ্গিত? সেই প্রসঙ্গেও পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন কুণাল। তিনি দাবি করেন, 'যদি তৃণমূলের কেউ মারা যায়, আপনারা গোষ্ঠীদ্বন্দের তত্ত্ব খুঁজছেন। আর যদি বিরোধীদের কেউ মারা যায়, তাহলে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে তৃণমূলকে। চাওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ঘুরছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সন্ত্রাস হলে ভিলেন হচ্ছে রাজ্যের প্রশাসন। এটি কীভাবে হতে পারে?'
বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তিনি বলেন, 'পরিকল্পিতভাবে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ নির্দিষ্ট কিছু স্থানে সন্ত্রাস করেছে। টার্গেট করে তৃণমূলের কর্মীদের মেরেছে। প্রাণহানি হয়েছে, রক্তপাত হয়েছে। আর এই উস্কানির পিছনে রাজ্যপালও রয়েছেন। কারণ তাঁরা দেখা চাইছেন যে বাংলায় নেতিবাচক ঘটনা ঘটছে, আর তাই দিয়ে বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।'