নবজোয়ার কর্মসূচিতে জেলায় জেলায় ঘুরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সেই কর্মসূচির শেষ দিন। আর শেষ দিনে দলের সাধারণ সম্পাদকের রাজনৈতিক উচ্চতা আরও বাড়িয়ে দিলেন দলনেত্রী। বললেন,'২ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৯০ সালে ঝান্ডা নিয়ে বলত, দিদিকে মারলে কেন, সিপিএম জবাব দাও।' সেদিনের ছবি বাঁধানো ফ্রেমে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে উপহার হিসেবে তুলে দিলেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিছানায় মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে বসে তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে তাঁর প্রয়াত মা। আর ঠাকুমার কোলে অভিষেক।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে নামখানার ইন্দিরা ময়দানে অভিষেকের সভায় বক্তব্য রাখেন মমতা। এ দিন তিনি বলেন,'আমি অভিষেককে একটা ছবি উপহার দেব। কেন দেব? অনেকে বলে, দিদি ভাইপোকে এমপি করে দিয়েছে। আপনারা অনেকেই জানেন না, ও রাজনীতি করে দু'বছর বয়স থেকে। সিপিএম যখন ৯২ সালে আমায় মেরে চৌচির করে দিয়েছিল, হাসপাতাল থেকে বাড়ি এসেছি, মা জিগ্গেস করল, কেমন আছিস, কী হয়েছিল, ১৯৯০ সালে অভিষেক তখন মায়ের কোলে বসে সব শুনছে। তার পর থেকে ও একটা ঝান্ডা নিয়ে বলত, দিদিকে মারলে কেন, সিপিএম জবাব দাও।' তিনি আরও বলেন,'আমি এই ছবিটা দিতে চাই ওকে। একদিকে, মায়ের ছবি, একদিকে আমার ছবি ও আর এক দিকে ওর দু'বছর বয়সের ছবি।'
সিপিএম জমানার কথাও মনে দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়,'আমরা যে কত মার খেয়েছি, ভুলে গিয়েছেন আজকে। জল হন্ধ করে দেওয়া, হাত কেটে নেওয়া, পা কেটে নেওয়া, কই মাছ মুখে ঢুকিয়ে খুন করা। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম তো লাস্টে এসেছে। তার আগে কত অত্যাচার হয়েছে।'
সভার শুরুতেই মমতা বলে দেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নন, তৃণমূলের নেত্রী হিসাবে তিনি বক্তব্য রাখতে এসেছেন। তাঁর কথায়,'আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এখানে বক্তৃতা দিতে আসিনি। আমি অল ইন্ডিয়া তৃণমূলের চেয়ারম্যান হিসেবে বলতে এসেছি।' তার পর একযোগে কংগ্রেস-সিপিএম এবং বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা। বলেন,'২ লক্ষ ৩১ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছে। এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এর আগে কখনও হয়নি।'