পঞ্চায়েত ভোটে মোট বুথের সংখ্যা ৬১,৬৩৬। এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৪৮৩৪। এর মধ্যে সংখ্যার হিসাবে মুর্শিদাবাদ জেলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বুথ স্পর্শকাতর। আবার শতাংশের হিসাবে কোচবিহারে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। মোট বুথের ৭.৮৪ শতাংশ।
মুর্শিদাবাদে মোট বুথ রয়েছে ৫৪৩৮টি। কমিশনের হিসেবে এর মধ্যে ৫৪১টি বুথ স্পর্শকাতর। অর্থাৎ জেলায় মোট বুথের মধ্যে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে ৯.৯৫ শতাংশ বুথে। মুর্শিদাবাদের তুলনায় কোচবিহার ছোট জেলা। সেখানে মোট বুথের সংখ্যা কম। কিন্তু কোচবিহারে মোট বুথের মধ্যে ১৩.২৯ শতাংশ বুথে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ ২৩৮৫টি বুথের মধ্যে ৩১৭টি হল স্পর্শকাতর বুথ।
মোট স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যার হিসাবে মুর্শিদাবাদের পরই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে ৬২২৬টি বুথ রয়েছে। গোটা রাজ্যের মধ্যে পঞ্চায়েতে দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেই বুথের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কমিশনের মূল্যায়ন অনুযায়ী এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ৫০২টি। অর্থাৎ মোট ৮.০৬ শতাংশ বুথে অশান্তি ও হিংসার আশঙ্কা রয়েছে।
রাজ্য দিচ্ছে ৭০ সশস্ত্র হাজার বাহিনী। কমিশনের নোডাল অফিসার অতিরিক্ত সচিব এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)। বুথে থাকবে মোট ৬৬ হাজার সশস্ত্র পুলিশ। মোট ৮৫০০ মোবাইল ইউনিট থাকবে। বুথ, মোবাইল নজরদারি, ডিসিআরসি এবং স্ট্রংরুমের নিরাপত্তায় থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। সব বুথে সিসিটিভি থাকবে। সম্ভব না হলে ভিডিওগ্রাফি করা হবে। ৯৫ % বুথে সিসিটিভি থাকবে। সব বুথ চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেল ৫টায় প্রচার শেষ হবে। ব্লকস্তরে একটি করে কেন্দ্রীয় গণনা কেন্দ্র। আজ থেকে ব্লক, মহকুমা ও জেলায় কমিশনের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাজ্যের কন্ট্রোল রুম-১৮০০৩৪৫৫৫৫৫৩। কমিশন বাহিনী ২২ জেলায় ২১ স্পেশাল অবজারভার (আইএএস)। এছাড়াও ব্লকস্তরে থাকবেন। ২৩৮ সাধারণ অবজারভার (ডব্লুবিসিএস)। কমিশনের কাছে সব বাহিনীই সমান। কেন্দ্রীয় বা রাজ্যের বাহিনীর মধ্যে বিভেদ করবে না কমিশন। কমিশন নিশ্চিত করবে সব বুথেই সশস্ত্র বাহিনী থাকবে।