Advertisement

West Bengal Panchayat Poll 2023: দিনহাটায় লাগামহীন ভোট-সন্ত্রাস, DCRC-তে ফিরেও আতঙ্কিত ভোটকর্মীরা

West Bengal Panchayat Poll 2023: গোটা উত্তরবঙ্গই এদিনের ভোটে রক্তাক্ত হয়েছে। একাধিক জায়গায় বোমা-গুলি চলেছে। খুন হয়েছেন একাধিক দলের কর্মী।তবে কোচবিহার জেলা ভোটের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত। বিশেষ করে দিনহাটার অবস্থা আরও খারাপ। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোটের হিংসার বিভিন্ন ছবি উঠে আসছিল।

দিনহাটায় লাগামহীন ভোট-সন্ত্রাস, DCRC-তে ফিরেও আতঙ্কিত ভোটকর্মীরা। ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিনহাটা,
  • 08 Jul 2023,
  • अपडेटेड 10:14 PM IST
  • ডিসিআরসিতে ফিরেও আতঙ্ক
  • নিরাপত্তাহীনতায় কাঁপছেন ভোটকর্মীরা
  • দিনহাটায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ভোটকর্মীরা

West Bengal Panchayat Poll 2023: ভোট শেষ করে ডিসিআরসি (DCRC)তে ফিরেও আতঙ্কে কাঁপছেন ভোটকর্মীরা। দিনহাটার ডিসিআরসিতে ফিরে ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলার বিভিন্ন বুথের প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসাররা। নিরাপত্তাহীনতায় ভোট করে কোনও মতে ফিরেছেন বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এমনকী নিরাপত্তাকর্মী পর্যন্ত পর্যাপ্ত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।

গোটা উত্তরবঙ্গই এদিনের ভোটে রক্তাক্ত হয়েছে। একাধিক জায়গায় বোমা-গুলি চলেছে। খুন হয়েছেন একাধিক দলের কর্মী।তবে কোচবিহার জেলা ভোটের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত। বিশেষ করে দিনহাটার অবস্থা আরও খারাপ। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোটের হিংসার বিভিন্ন ছবি উঠে আসছিল। সকালে প্রথমে নিশিগঞ্জ এলাকায় এক ব্যক্তির গুলি লেগে মৃত্যু হয় নির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যেই। তবে তারপরেই উত্তাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। তবে রাজনৈতিক হিংসার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে তীব্র বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে দিনহাটা মহকুমায়। গুলি লাগার ঘটনায় চিরঞ্জিত কার্জি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তারপরও নির্বাচন প্রক্রিয়া কিন্তু বিন্দুমাত্র থেমে থাকেনি। এই সমস্ত তীব্র হিংসার মাঝেও বিভিন্ন এলাকায় ভোটগ্রহণ পর্ব চলেছে। তবে নিরাপত্তার অভাবে ভয়ে কুঁকড়ে থাকতে হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।

নির্বাচন কর্মীদের কেউ কেউ ফিরে জানান, শুক্রবার রাত যত বাড়তে শুরু করে ততই ভয়াবহ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।  প্রথমেই একদল দুষ্কৃতী এসে তাঁদের ভয় দেখিয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে আরেক দল দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছলে তাঁদের তাড়া করার পর সেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তবে পরে ফের দুষ্কৃতীরা ফিরে আসে, ব্যালট বাক্স ভাঙচুর করে এবং জল ঢেলে দেয়। এছাড়াও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ব্যালট পেপার এবং নির্বাচনকর্মীদের জিনিসপত্রের মধ্যে। শুক্রবার থেকে শনিবার ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত আতঙ্ককে সঙ্গী করে কাজ করে যেতে হয়েছে। অথচ কিছুই করার ছিল না তাঁদের।

Advertisement

আরেকজন জানান, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কোনও পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। মোতায়েন করা হয়েছিল মাত্র একজন হোম গার্ডকে। পরদিন সকালে দুষ্কৃতীরা এসে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তাঁদের ভোট কেন্দ্রের মধ্যে। সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো থেকে শুরু করে তীব্র বোমাবাজি করা হয় ও গুলি চালানো হয়। এছাড়াও নির্বাচন কর্মীদের ভোট প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। কন্ট্রোল রুমে জানানোর পর পুলিশ বাহিনী পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। এভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভোট করানো সম্ভব নয়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement