পঞ্চায়েত ভোটে গোটা বাংলা জুড়েই তৃণমূলের জয়জয়কার তাঁর দলের। আর এই আবহেই বুধবার নবান্নে পা রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৭ জুন উত্তরবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তারপর থেকে বাড়িতেই চিকিৎসা চলেছে তৃণমূলনেত্রীর। চোট পাওয়ার ১৫ দিন পর এদিন নবান্নে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত জেতার পর নবান্ন থেকে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবারের ভোটে বহু বুথে তৃণমূলের পক্ষে যাওয়া ব্যালট বাতিল হয়েছে,সেই প্রসঙ্গ এবারের সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে আনেন তৃণমূলনেত্রী। নবান্ন থেকে মমতা বলেন, এখানে অনেকে কাজ করেন। কো-অর্ডিনেশন কমিটির অনেক সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তাঁরা অনেক জায়গায় ব্যালট পেপারে সই করেননি। ফলে আমাদের অনেক ব্যালট বাতিল হয়েছে। দোষটা কার? তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন?
অন্তর্ঘাত করেছেন ভোটের কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মীদের একাংশ, তেমনই দাবি করেছে জোড়াফুল শিবির।
বহু বুথে যে হারে তৃণমূলের পক্ষে যাওয়া ব্যালট বাতিল হয়েছে, তাতেই এই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। আসলে প্রতিটি ব্যালটে প্রিসাইডিং অফিসারের স্ট্যাম্প ও স্বাক্ষর জরুরি। না হলে সেই ব্যালট বাতিল করার নিয়ম। এই নিয়মের ছিদ্রপথেই হয়েছে অন্তর্ঘাত, এমনটাই দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন নবান্নে সেই সন্দেহ প্রকাশ করলেন দলনেত্রীও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, যতদিন বিরোধী দলে ছিলাম মার খেয়েছে, বিজেপি ক্ষমতায় এসেবিদ্বেষমূলক মনোভাব নিয়েছে। সাধারণ ঘরের মেয়ে বলেই আমার ওপর রাগ? প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরা ও অসমের প্রসঙ্গ তুলে আনেন মমতা। মণিপুরে তৃণমূলের দল পাঠানোর কথাও বলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার যদি সত্যিই কোনও অপরাধ থাকে, যে শাস্তি মানুষ আমাকে দেবে, মাথা পেতে নেব। দাম্ভিকতা কোনও রাজনৈতিক দলের উদ্ধত্য হতে পারে না। মানুষের আশীর্বাদ-শুভেচ্ছা-দোয়া পেলে আরও নম্র হতে হয়।