Purushottam Maas 2023 Rashifal: ১৮ জুলাই মঙ্গলবার থেকে অধিকমাস বা মলমাস শুরু হচ্ছে। অধিকমাসকে পুরুষোত্তম মাসও বলা হয় কারণ এর অধিপতি স্বয়ং ভগবান শ্রী হরি। হিন্দু ধর্মে পুরুষোত্তম মাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই মাসে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করা এবং ভাগবত কথা শ্রবণ করা অত্যন্ত পুণ্যের বলে বিবেচিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই মাসে করা ধর্মীয় কাজ ও পূজা বেশি ফল দেয় এবং মোক্ষ লাভ করে। জ্যোতিষশাস্ত্রে মলমাসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে এই সময়ে যা করা উচিত সে সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়েছে।
মলমাসে কী করতে হবে
শ্রী হরি বিষ্ণু বিশ্বের রক্ষক হিসাবে পরিচিত। যারা ভগবান বিষ্ণুর পূজা করেন তাদের জীবনে সর্বদা সুখ শান্তি থাকে এবং তারা সমৃদ্ধিও লাভ করে। শাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তি ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করেন তিনি সর্বদা দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পান। ভগবান বিষ্ণু তাঁর সমস্ত ভক্তকে ভালোবাসেন। যিনি সত্যিকারের মন ও পূর্ণ ভক্তি সহকারে শ্রী হরিকে পূজা করেন, তিনি অবশ্যই তাঁর আশীর্বাদ পান। কিন্তু এমন চারটি রাশি আছে যেগুলির উপর ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ কৃপা থাকে। এই রাশির জাতক জাতিকাদের কখনই অর্থ সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। তারা জীবনের সব সুখ পায়। মলমাসেও এই চারটি রাশির ওপর ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ কৃপা থাকবে।
বৃষ রাশি (Taurus)
বৃষ রাশি সর্বদা ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পান। বৃষ রাশির জাতক জাতিকারা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং তারা যে কাজ হাতে নেন তাতে সফলও হন। তাই শ্রী হরি বিষ্ণুর পাশাপাশি মা লক্ষ্মীরও বিশেষ আশীর্বাদ রয়েছে বৃষ রাশির মানুষের ওপর।
কর্কট রাশি (Cancer)
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কর্কট রাশির জাতকরা ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় জীবনে অনেক উন্নতি করেন। ভগবান বিষ্ণুর মতো, কর্কটরাশিরা খুব শান্ত প্রকৃতির, কিন্তু যখন তাদের ধৈর্য ভেঙে যায়, তখন তাদের শান্ত করা কঠিন। তারা সবসময় ভালো জিনিস পছন্দ করেন।
সিংহ রাশি (Leo)
সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের উপরও ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ কৃপা থাকে। সিংহ রাশির জাতক জাতিকারা যে কাজেই হাত লাগান না কেন, শ্রী হরির কৃপায় তারা তাতে সফলতা পান। ভাগ্য সবসময় সিংহ রাশির জাতকদের পক্ষে থাকে। তারা সবসময় সম্মান পান।
তুলা রাশি (Libra)
তুলা রাশির জাতিকাদের উপর ভগবান বিষ্ণুর কৃপা বজায় থাকে। তুলা রাশির জাতক জাতিকারা কঠোর পরিশ্রমী যারা যেকোনো অসুবিধার মধ্যেও কাজ করতে দ্বিধা করেন না এবং সাফল্য পান। তারা পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন। শ্রী হরি বিষ্ণুর কৃপায় তাঁদের জীবনে আর্থিক অভাব থাকে না।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)