জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী. প্রতিটি রাশির প্রকৃতি, ব্যক্তিত্ব এবং ভাগ্য আলাদা। প্রতিটি রাশির অধিপতি গ্রহ রয়েছে। সেই অধিপতি গ্রহের প্রভাব ব্যক্তির স্বভাবের উপর পড়ে। এমন কয়েকটি গ্রহ রয়েছে যা ব্যক্তির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।জ্যোতিষশাস্ত্রে মঙ্গলকে উগ্র গ্রহ, রাহু ও কেতুকে পাপী গ্রহ এবং শনিকে নিষ্ঠুর গ্রহ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। যে সকল রাশির উপর এই গ্রহগুলি প্রভাবিত হয় বা এই গ্রহগুলি অধিপতি গ্রহ, সেই সব মেয়েরা স্বভাবে খুব রাগী হয়। এই সব মেয়েরা দ্রুত তাঁদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। রাগলে এই মেয়েরা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েন। মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সহজে। যদিও পরে নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন তাঁরা।
মেষ রাশি- জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে মেষ রাশিতে মঙ্গলের প্রভাব রয়েছে। মঙ্গলকে একটি উগ্র গ্রহ হিসাবে ধরা হয়। এ কারণে এই রাশির মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি রেগে যায়। এই রাশির মেয়েদের কোষ্ঠীতে মঙ্গল অশুভ থাকলে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এই স্বভাবের কারণে তাঁদের দাম্পত্য জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া তাঁদের বন্ধুর সংখ্যাও কম।
কর্কট - এই রাশির মেয়েরা তাঁদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন না। তা প্রকাশ করতেও পারেন না। এজন্য তাঁরা প্রায়ই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন। যখন তাঁরা রেগে যান নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েন। কথা বলার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। রাগ প্রকাশ করতে না পারার কারণে বিরক্তিও আসে।
মকর- এই রাশির মেয়েরা দেরিতে হলেও রেগে যান। একবার চটলে আশেপাশে কিছুই দেখতে পান না। এমনকি তাঁদের এই স্বভাবের কারণে পরে অনুতপ্তও হতে হয়। শনি এই রাশির অধিপতি। তাই তাঁদের উপর শনির প্রভাব দেখা যায়। শনি ন্যায়াধিশ বা ন্যায়ের দেবতা নামেও পরিচিত। এ কারণে এই রাশির মেয়েরা কোনও অন্যায়কেও প্রশ্রয় দেন না।
কুম্ভ - জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে এই রাশির মেয়েদের রাগও খুব প্রবল হয়। অনেক সময় রাগ করে নিজের ক্ষতিই করে ফেলেন। এজন্য তাঁদের বিবাহিত জীবনে বাধা সৃষ্টি হয়। রাগের কারণে মানসিক অস্থিরতাও তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, রাগের কারণে তাঁদের কথার মাধুর্যও হারায়।
আরও পড়ুন- ষষ্ঠী থেকে দশমী- দুর্গাপুজোর ৫ দিন কোন রাশির কেমন যাবে?