Astrology Succsess Remedies: জীবনে আমরা সকলেই কোনও না কোনও কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হই। কখনও ব্যক্তিগত সমস্যা, আবার কখনও অন্য কারও হস্তক্ষেপে, আবার কখনও যেন অদৃশ্য কোনও শক্তির খেলায় কাজ ভেস্তে যায়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই বাধাগুলোকে গ্রহ-নক্ষত্রের স্থান পরিবর্তন এবং তাদের মধ্যকার সম্পর্কের ফলাফল হিসাবে মনে করা হয়। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জ্যোতিষ শাস্ত্রের দৃষ্টিতে এভাবে কাজে বাধা আসার কারণগুলি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী কাজে বাধা আসার কারণ:
- গ্রহদশা: জ্যোতিষ শাস্ত্রে গ্রহদশা শব্দটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে কোন গ্রহের দশা চলছে তার উপর নির্ভর করে তার জীবনে ঘটনাপ্রবাহের পরিবর্তন ঘটে। যদি কোনো ক্ষতিকর গ্রহের দশা চলছে, তাহলে ব্যক্তিটির কাজে বাধা, অসুখবিসুখ বা অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গোচর ফল: গ্রহের গতিপথকে গোচর বলা হয়। কোনো গ্রহ যখন জন্মকুণ্ডলীর কোনো গ্রহের সাথে যুক্ত হয় বা বিপরীত হয়, তখন তার ফল ভোগ করতে হয়। এই যোগ বা বিপরীতের প্রভাবে ব্যক্তির জীবনে নানা ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, যার মধ্যে কাজে বাধাও অন্যতম।
- দশম ভাব: জন্মকুন্ডলীর দশম ভাবকে কর্মভাব বলা হয়। এই ভাবটি ব্যক্তির কর্মক্ষেত্র, সামাজিক মর্যাদা এবং পেশাগত জীবনকে নির্দেশ করে। যদি এই ভাবটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ব্যক্তির কর্মক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- শনি গ্রহ: শনিকে বাধার দাতা গ্রহ বলা হয়। শনি যখন কোনো কুদৃষ্টি করে বা দশা চলে, তখন ব্যক্তির কাজে বাধা, দেরি এবং বিলম্ব হতে পারে।
- রাহু-কেতু: রাহু-কেতু ছায়া গ্রহ। এই দুই গ্রহের প্রভাবে ব্যক্তির জীবনে অনেক ধরনের অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। কাজে বাধাও এর একটি ফল।
- নক্ষত্র: জ্যোতিষ শাস্ত্রে নক্ষত্রেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কোনো ব্যক্তির জন্মনক্ষত্রের স্বভাব অনুযায়ী তার জীবনে ঘটনাপ্রবাহের পরিবর্তন হয়। যদি জন্মনক্ষত্র ক্ষতিকর হয়, তাহলে ব্যক্তির কাজে বাধা আসতে পারে।
কাজে বাধা কাটিয়ে উঠার উপায়:
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, কাজে বাধা কাটিয়ে উঠার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমন:
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, কাজে বাধা আসার পিছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। তবে নিরাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। উপরোক্ত উপায়গুলো অনুসরণ করে কাজে বাধা কাটিয়ে উঠা সম্ভব। তবে জ্যোতিষ শাস্ত্রকে বিজ্ঞানের চোখে দেখার চেষ্টা করা উচিত। এটি একটি বিশ্বাসের বিষয়।
মনে রাখবেন: এই লেখাটি সামগ্রিক বাখ্যা মাত্র। জ্যোতিষ শাস্ত্র একটি বিস্তৃত বিষয় এবং এর সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা একদিনে দেওয়া সম্ভব নয়।
দ্রষ্টব্য: রাশি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জ্যোতিষ ও লোকমতভিত্তিক। এগুলি সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ বা সুপারিশ নয়।