বৈদিক জ্যোতিষে সপ্তম, পঞ্চম ও নবম ঘরের অধিপতি যদি ভালো অবস্থায় থাকে তবে সেই জাতকের বিয়ে সময়ের মধ্যে হয়ে যায়। অন্যদিকে বৃহস্পতি, শুক্র ও চন্দ্রের মতো গ্রহ যদি শুভ অবস্থানে থাকে তবে সেই বিয়ে দারুণ সফল হয়। জন্মছকের সপ্তম স্থান জীবনসঙ্গী ও পঞ্চম স্থান থেকে প্রেমের বিচার করা হয়। ভাগ্য ও জন্মছকের ঘর সর্বদা এই দুটি যদি সহায়ক থাকে তবে বিয়ে সঠিক সময়ে হয়ে যায়। যদি সূর্য, মঙ্গল, শনি ও রাহুর মতো গ্রহ সপ্তম স্থানে বিরাজ করলে বা সপ্তম ঘরের অধিপতির সঙ্গে যুতি করলে সেক্ষেত্রে বিয়েতে বিলম্ব হতে পারে জাতকের। এ ছাড়া পুরুষের কুণ্ডলীতে নারীর কারক শুক্র এবং নারীর কুণ্ডলীতে স্বামীর কারক বৃহস্পতি পীড়িত হলে বিয়ে দেরিতে হয় এবং বিয়ে সুখের হয় না। এ ছাড়া লগ্ন, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ ঘরে মাঙ্গলিক ২৮ বছর পর জাতককে বিবাহের সুখ দেয়। বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রের নিয়ম অনুসারে সপ্তম ঘরে শনি, রাহু ও সূর্য থাকলে ব্যক্তির বিবাহ একেবারেই হয় না এবং যদি হয় তবে তা মধ্য বয়সের পরে হয়। এমতাবস্থায় এসব ত্রুটি প্রতিরোধের প্রতিকারও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
টোটকা ১
যদি মেয়ের বিয়েতে দেরি হয় তবে ২১ সোমবারের ব্রত করা উচিত। পঞ্চোপচারের জন্য কাত্যায়নী যন্ত্রের পুজো করার পরে, এটি পুজোর ঘরে স্থাপন করুন এবং প্রতিদিন ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে মা পার্বতীর পুজো করুন।
আরও পড়ুন: হাতের এই চিহ্নগুলি দুর্ভাগ্য ডেকে আনে, প্রতি পদে সমস্য়ায় পড়তে হয়
টোটকা ২
যদি ছেলের বিয়েতে দেরি হয় তাহলে তাঁকে হলুদ রঙের পোশাক পরতে হবে। চন্দনের তিলক নিজের নাভিতে লাগান। এছাড়া সর্বদা রেশমি রুমাল নিজের সঙ্গে রাখুন।
টোটকা ৩
কোনও কন্যার বিয়ে যদি বার বার ভেঙে যায় তাহলে সেই কন্যাকে শুক্ল পক্ষের সোমবার একটা টোটকা করতে হবে। সেটা হল, আপনাকে মন্দিরে গিয়ে শিব-পার্বতীর পুজো করে কলাব দিয়ে গাঁটজোড় বাঁধতে হবে। এটা আপনাকে ৭টি সোমবার করতে হবে। তাহলে আপনার বিয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির শেষেই বুধের অস্ত, ৭ রাশির জীবন-কেরিয়ারে উথালপাথালের আশঙ্কা
টোটকা ৪
অশ্বত্থ গাছে পরপর ৪৩ দিন জল অর্পণ করুন। শুধু রবিবার এবং মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় এই উপায়টি করবেন না।
টোটকা ৫
শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার ভগবান বিষ্ণু ও মাতা লক্ষ্মীর পুজো করবেন এবং ৫টি বেসনের লাড্ডু অর্পিত করবেন। এরপর বিষ্ণুর মাথার ওপরে বাঁধা কলঙ্গী দান করুন এবং বিয়ের প্রার্থনা করুন। শীঘ্রই বিয়ে হয়ে যাবে।