বৈদিক জ্যোতিষে শনি গ্রহের বড় মাহাত্ম্য রয়েছে। শনির গচোর এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে গোচর করতে আড়াই বছর সময় নেয়। আর শনির দশা সাড়ে সাত বছর হয়, যেটাকে শনির সাড়েসাতি বলা হয়। আসলে শনি ২৯ মার্চ ২০২৫ সালে কুম্ভ থেকে বেড়িয়ে মীন রাশিতে প্রবেশ করে যাবে। যার প্রভাব কিছু রাশির ওপর ইতিবাচক ও নেতিবাচক হবে। জ্যোতিশাস্ত্রে শনিদেবকে (শনি গ্রহ) ন্যায় বিচারক, কর্মফলদাতা গ্রহ বলা হয়। এই কারণে প্রাপ্ত ফল নির্ভর করে কর্মফলের উপর। কর্মফল অনুযায়ী শনিদেব সাড়েসাতি, কণ্টক শনি, অর্ধ কণ্টক শনি এবং শনির দশা চলা কালে শুভ বা অশুভ ফল দান করে। ২৯ মার্চ ২০২৫, ভারতীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে শনি রাশি পরিবর্তন করে মীন রাশিতে গমন করবে।
এই রাশিদের ওপর থাকবে সাড়েসাতি
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, মার্চ ২০২৫-এ শনি মীন রাশিতে এন্ট্রি নেবে। তখন মকর রাশি মুক্তি পাবে সাড়েসাতি থেকে। অপরদিকে, মেষ রাশির সাড়েসাতি শুরু হয়ে যাবে। আর মীন রাশিতে সাড়েসাতির দ্বিতীয় চরণ শুরু হবে। অন্যদিকে, কুম্ভ রাশির সাড়েসাতির শেষ চরণ শুরু হবে। এর প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য এই রাশিকে কিছু বিশেষ উপায় করতে হবে।
অই রাশিদের ঢাইয়া শুরু
মীন রাশিতে শনি যেতেই বৃশ্চিক রাশির ওপর থেকে ঢাইয়ার প্রভাব শেষ হবে। ধনু রাশির ঢাইয়া শুরু হয়ে যাবে। অপরদিকে, কর্কট রাশির শনির ঢাইয়া শেষ হবে আর সিংহ রাশির শনির ঢাইয়া শুরু হয়ে যাবে।
সাড়েসাতি কী
শনির সাড়েসাতি কথাটির সাথে কমবেশি আমরা সকলেই পরিচিত। সাধারণ মানুষের কাছে সাড়েসাতি ভয় বা আতঙ্ক সৃষ্টিকারী শব্দ হলেও বিষয়টা কিন্তু তেমন ভয়ঙ্কর নয়। শনি ধীর গতিসম্পন্ন গ্রহ, প্রত্যেক রাশিতে কমবেশি ২ বছর ৬ মাস অবস্থান করে। চন্দ্র রাশির দ্বাদশে, চন্দ্র রাশিতে এবং চন্দ্র রাশির দ্বিতীয়ে শনির অবস্থানের সাড়ে সাত বছর সময়কালকে শনির সাড়েসাতি বলে। সাড়েসাতির প্রভাবে এই সাড়ে সাত বছরে মানুষকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে যেতেও দেখা যায়। সাড়েসাতিতে কারা শুভ বা অশুভ ফল পাবেন, তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির রাশি, লগ্ন, দশা, অন্তর্দশা , জন্মছকে গ্রহের অবস্থান, কর্মফল ইত্যাদির উপর।