পঞ্জিকা অনুসারে, বৈশাখের পূর্ণিমার দিনে গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল। ওই দিনটিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে পালন করা হয়। বৌদ্ধরা পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধের পুজো করেন। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ওই দিন বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও ঘটতে চলেছে। বুদ্ধ পূর্ণিমার জন্য একটি খুব বিশেষ যোগ তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ৫ মে বুদ্ধপূর্ণিমা। ১৩০ বছর পরে এমন কাকতালীয় ঘটনা ঘটতে চলেছে। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে ঘটতে চলেছে চন্দ্রগ্রহণ। চন্দ্রগ্রহণের সময় এমন বিরল যোগে বেশ কয়েকটি রাশির জাতক-জাতিকারা উপকৃত হতে চলেছেন।
২০২৩ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে চলেছে ৫ মে। ওই দিন বুদ্ধ পূর্ণিমা। ৫ মে সূর্যোদয় থেকে ৯টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত সিদ্ধি যোগ থাকবে। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ শুরু হচ্ছে ৫ মে রাত ৮টা ৪৭ মিনিটে। শেষ হবে রাত ১টা নাগাদ। ১৩০ বছর পর বুদ্ধ পূর্ণিমায় একটি যোগ তৈরি হচ্ছে। সেই সময় শনি থাকবে কুম্ভ রাশিতে। দেবগুরু, বুধ ও সূর্য থাকবে মেষ রাশিতে। বুধ ও সূর্য একঙ্গে বুধাদিত্য যোগ গঠন করবে। চন্দ্রগ্রহণে কারা কারা উপকৃত হবেন?
মেষ- বুদ্ধ পূর্ণিমায় বিরল যোগ মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য শুভ হবে। বাড়বে আপনার আয়। চাকরি পরিবর্তন করতে চাইলে এটা আদর্শ সময়। কাঙ্ক্ষিত জায়গায় চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দিনে সূর্য থাকবে মেষ রাশিতে। সেই সঙ্গে বুধও থাকবে। তৈরি হবে বুধাদিত্য যোগ। দীর্ঘসময় ধরে আটকে থাকা কাজ শেষ করতে পারবেন। চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতির যোগ।
আরও পড়ুন- মদ বেশি খাওয়াতেই কি বাদাম দেওয়া হয় পানশালায়? জানুন রহস্য
কর্কট- এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য এই সময়টি কর্মজীবনের জন্য উপকারী হবে। মিটে যাবে পুরানো সমস্যা। ভাগ্যের সহযোগিতা পাবেন। জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাবে। কর্মক্ষেত্রে আপনি সাফল্য পাবেন। কারও সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হতে পারে। যা পরবর্তীকালে উপকারী হতে পারে।
সিংহ- এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য সাফল্য বয়ে আনবে। আপনি নতুন সুযোগ পাবেন। এতে সাফল্য পেতে পারেন। ব্যবসায় গতি আসবে। চাকরিজীবীরা অগ্রগতি পেতে পারেন। আপনার চিন্তাধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি দেখা যাবে।
মিথুন- কর্মজীবনে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করা উচিত। আপনি কেরিয়ারের দিক থেকে সফল হবেন। চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতি করবেন। আপনার হাতে আসবে টাকা। পরিজনদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে।