বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ির সব ধরনের বিষয় নিয়েও নিয়মের কথা বলা হয়েছে। বাড়ির বাস্তু যদি সঠিক থাকে তাহলে পরিবারের সদস্যদের কোনও চিন্তা থাকে না। কিন্তু বাড়িতে যদি বাস্তুত্রুটি দেখা যায়, তাহলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাড়ির বাস্তু নির্ধারণ করে বাড়িতে পজিটিভ নাকি নেগেটিভ শক্তি প্রবাহিত হবে। বাড়ির সব জিনিসের মধ্যে বাস্তুতে ঝাঁটার গুরুত্ব বিশেষ। ঝাঁটাকে মা লক্ষ্মীর স্বরূপ বলে মনে করা হয়ে থাকে। বাস্তুতে বলা হয়েছে, ঝাঁটা বাড়ির এমন জায়গায় রাখা উচিত, যেখানে বাইরের সদস্যর নজরে না আসে। আর এই কারণের জন্যই ঝাঁটাকে কখনও রান্নাঘরে আবার কখন বা বিছানার নীচে লুকিয়ে রাখেন অনেকে। কিন্তু ঝাঁটাকে আদৌও বিছানার নীচে কি রাখা যায়? কী বলছে বাস্তু আসুন জেনে নিই।
ঝাঁটা কি খাটের নীচে রাখা যেতে পারে
বাস্তু অনুযায়ী ঝাঁটা মা লক্ষ্মীর প্রতীক বলে মনে করা হয়। আর এই ঝাঁটাকে সব সময় পরিষ্কার জায়গায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। ঝাঁটা রাখার কিছু বিশেষ জায়গা ও দিকের কথা বলা হলেও বিছানা বা খাটের নীচে ঝাঁটা রাখা একেবারেই উচিত নয়। আপনি যদি এরকম করে থাকেন তাহলে বাড়িতে বাস্তু দোষ হতে পারে আর আপনার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য কমে যেতে পারে। খাটের নীচে থাকা ঝাঁটা আপনার বাড়িতে নেতিবাচকতা নিয়ে আসবে। তবে খাটের নীচ সবসময় পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি।
মা লক্ষ্মীর অপমান
বাস্তু অনুযায়ী, ঝাঁটাকে বিছানার নীচে রাখলে তাতে মা লক্ষ্মীর অপমান হয় আর আপনার আর্থিক ক্ষতিও হতে পারে। খাটের নীচে ঝাঁটা রাখলে আপনার অর্থ অযথা কাজে ব্যয় হতে পারে আর বিনা কারণে লোকসান হতে পারে।
পরিচ্ছন্নতার প্রতীক
বাস্তুতে, ঝাঁটা শুধুমাত্র শারীরিক অর্থেই নয়, আধ্যাত্মিক প্রসঙ্গেও পরিচ্ছন্নতার প্রতীক। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে খাটের নীচে ঝাঁটা রাখলে দিনের বেলায় জমে থাকা নেতিবাচক শক্তি ঝাঁটার মাধ্যমে সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আপনি যদি এটি সঠিক জায়গায় রাখেন তবে এটি আপনার বাড়িতে সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে। ঝাঁটা দিয়ে আপনি ঘর পরিষ্কার করুন এবং ঘর থেকে যা কিছু আবর্জনা থাকে তা বের করে নিন, কিন্তু ঘুমোনোর জায়গায় রাখলে আবর্জনার সঙ্গে অনেক নেতিবাচক শক্তিও আসে যা বাড়ির জন্য শুভ ফল দেয় না।