কর্মজীবন হোক বা ব্যক্তিজীবন, চড়াই-উৎরাই আসা খুব স্বাভাবিক বিষয়। আর বর্তমান জীবনে ভাগ্য বদলাতে কে না চায়। হাতের রেখার পাশাপাশি কিছু এমন রত্ন রয়েছে, যা ধারণ করলে ব্যক্তির ভাগ্য পাল্টে যেতে পারে। এমন কিছু রত্ন রয়েছে, যা সঠিক উপায় ধারণ করলে দুর্ভাগ্য দূর হয় এবং সৌভাগ্যের আগমন ঘটে। রাশি বা কোষ্ঠি অনুযায়ী রত্ন ধারণ না-করলে ক্ষতি হতে পারে। সেরকমই এক রত্ন হল ফিরোজা বা টারকয়েস। যেটা সর্বক্ষণ দেখা যায় বলিউড অভিনেতা সলমন খানের হাতে।
সলমনের হাতে থাকে ফিরোজা
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সলমন জানিয়েছিলেন তাঁর হাতে থাকা ব্রেসলেটের মধ্যে নীল যে পাথর রয়েছে, তার বিশেষ ভূমিকা আছে অভিনেতার জীবনে। সলমন জানান, নীল রঙের পাথরটির নাম ‘ফিরোজা’ পাথর। এই পাথরের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে বলেই তা দিয়ে ব্রেসলেট তৈরি করেছেন সলমন। সলমন জানান, ব্রেসলেটের পাথরের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে ‘নেগেটিভিটি’ বা নেতিবাচকতাকে আটকে ফেলার। এমনকি পাথরের মধ্যে শিরার মতো ডিজাইন করা রয়েছে, যার মধ্যে দিয়ে এই নেতিবাচকতা ভেঙে ছড়িয়ে যায় পাথরের মধ্যে এবং সেই সময়েই পাথরটি নিজে থেকে ভেঙে যায় বলে দাবি করেন সলমন।
ফিরোজার উপকারিতা
-জ্যোতিষ অনুযায়ী ফিরোজা ধারণ করলে দুর্ভাগ্য দূর হয় ও সৌভাগ্য লাভ করা যায়। ফিরোজার প্রভাবে ধন, সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি সম্ভব। আর্থিক অনটন দূর করতে সহায়ক এই রত্ন।
-মান-সম্মানের আকাঙ্খা করে থাকলে এই রত্ন ধারণ করতে পারেন। রত্ন শাস্ত্র অনুযায়ী ফিরোজা জাতকের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার করে এবং বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
-নিরন্তর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও চাকরি ও কেরিয়ারে সাফল্য লাভ করতে না-পারলে ফিরোজা ধারণ করতে পারেন। শিল্পকলার ক্ষেত্রে সক্রিয় রয়েছেন যে জাতকরা, যেমন অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পী, আর্কিটেক্চার এই রত্ন ধারণ করতে পারেন। পেশায় ডাক্তার ও চিকিৎসকরাও এই রত্ন পরলে লাভ পেতে পারেন।
-ফিরোজা পাথর বা রত্নের অন্যান্য গুণাগুণও রয়েছে বলে অনেকে দাবি করেন। জীবন সুন্দর মুহূর্তে ভরিয়ে তোলার পাশাপাশি এই পাথর মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।
কোনদিন এই ফিরোজা ধারণ করতে হয়?
বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার এই রত্ন ধারণ করা শুভ। এই তিন দিনের মধ্যে যে কোনও একটি দিনে শুভক্ষণ দেখে ফিরোজা ধারণ করবেন। তবে যে জাতকের কোষ্ঠিতে আগে থেকেই বৃহস্পতি শক্তিশালী রয়েছে, সেই জাতকদের ফিরোজা পরার তেমন প্রয়োজনীয়তা নেই।