মানব জীবনে রত্নের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্রেও বিভিন্ন রত্নের উল্লেখ করা হয়েছে। রাশিচক্রে দুর্বল গ্রহ এবং সেগুলির নেতিবাচকতা দূর করতে রত্ন ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গ্রহ এবং রাশিচক্র অনুযায়ী মানুষের রত্ন ধারণ করা উচিত। তাই যে কোনও রত্ন ধারণ করার আগেই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে এমন কিছু রত্ন আছে যা মানুষের ঘুমন্ত ভাগ্যকে জাগিয়ে তুলতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কীকী?
নীলা
রত্নশাস্ত্র অনুসারে, নীলাকে শনির রত্ন হিসাবে ধরা হয়। মনে করা হয়, যিনি এই রত্ন ধারণ করেন তাঁর ভাগ্যের দ্রুত পরিবর্তন হয়। তবে নীলা বা নীলকান্তমণি ধারণের আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। কারণ এই রত্নটি পরার সঙ্গে সঙ্গেই সেটির কাজ শুরু হয়ে যায়। তবে মনে রাখবেন এই রত্নের সঙ্গে সঙ্গে কখনও রুবি, প্রবাল এবং পোখরাজ পরবেন না।
পান্না
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পান্না হল বুধের রত্ন। ব্যবসা এবং চাকরিতে পদোন্নতির জন্য পান্না পরা যেতে পারে। পান্না পরলে একদিকে যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়ে, অন্যদিকে তেমনই বুদ্ধিমত্তাও বৃদ্ধি পায়। তবে পান্নার সঙ্গে মুক্তা, প্রবাল এবং পোখরাজ কখনওই পরা উচিত নয়।
টাইগার স্টোন
নীলার মতো টাইগার স্টোনও পরার সঙ্গে সঙ্গে কাজ করতে শুরু করে দেয়। মনে করা হয় যাঁরা আর্থিক সংকটে ভুগছেন তাঁদের জন্য এই পাথর খুবই কার্যকরী। কেটে যায় অর্থনৈতিক সংকট। পাশাপাশি এই রত্নটি ক্যারিয়ারে উন্নতি আনে।
জেড স্টোন
ছাত্রছাত্রীদের জেড স্টোন ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এটি শুধু আর্থিক উন্নতিই করে না, একাগ্রতাও বাড়ায়। তাই রত্নবিদ্যা অনুসারে, চাকরি বা ব্যবসায় উন্নতি করতে সবুজ রঙের জেড পাথর পরতে পারেন। এই পাথর সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতি, সম্মান ও সম্পদ নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন - নদীর জল শুকিয়ে যেতেই আস্ত গ্রাম, অবাক বিশ্ব